এই বিষয়ে নাট্যকর্মী তথা স্কুল শিক্ষক অমিত সাহা বলেন, সুস্থ পরিবেশ ও সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল গড়ে তুলতে পারে একমাত্র থিয়েটার। আমাদের লক্ষ্য ছাত্র অবস্থা থেকেই শিশুদের মধ্যে থিয়েটারের প্রতি ভালবাসা জাগানো, যাতে ভবিষ্যতে তাঁরা যখন নাগরিক হয়ে উঠবেন তাদের হাত ধরেই সমাজের পরিবর্তন হবে।
আরও পড়ুনঃ খুশির খবর দিল ঝালদা পৌরসভা, কী খবর? জানুন..
advertisement
প্রসঙ্গত, নাটকের শহর বলে পরিচিত বালুরঘাটে এখনও অনেক ছোট বড় নাট্য দল রয়েছে। নাটকের চর্চা নিয়মিত হয় এবং প্রায় প্রতিবছরই নতুন নতুন নাটক মঞ্চস্থ করে নাটকের দলগুলি। খুব স্বাভাবিকভাবেই নাটকের প্রতি সকলেরই একটা আলাদা টান রয়েছে বালুরঘাট শহরে। ললিত মোহন আদর্শ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য এই নাট্যকর্মশালার আয়োজন করে স্কুলের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল পরিবর্তন হতে শুরু করেছে বলে দাবি করছেন শিক্ষকরা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বালুরঘাট শহরেই অনুষ্ঠিত হবে স্কুল ড্রামা ফেস্টিভাল। অংশগ্রহণ করবে বালুরঘাট শহরের নামকরা বিভিন্ন স্কুল গুলি। তাই এই নাট্য উৎসবে অংশগ্রহণ করার আগে মহড়া চলছে বিগত কয়দিন যাবত।
ছাত্রদের দাবি, মোবাইল খেলে বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মেরে সময় নষ্ট হয়। তার থেকে বড় নাটকের মহড়ায় অংশগ্রহণ করলে সেখানে সুপ্ত কলা গুলিকে ফুটিয়ে তোলা যায়। যে কারণে দিন দিন নাটকের প্রতি ছাত্রদের ভালবাসা বাড়ছে এবং অভিনয় করার ইচ্ছা প্রকাশ করছে অনেক ছাত্রই।
প্রথমদিকে ছাত্রদের মধ্যে কিছুটা জড়তা ভাব ছিল, কিন্তু লাগাতার নাট্যচর্চা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ছোট থেকে বড় সব ধরনের ছাত্ররাই অভিনয়কে আয়ত্ত করতে শিখে গেছে। সাবলীল ভাবে কথা বলতে পারে তাঁরা, এটাও কম পাওনা নয় বলে জানাচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।
সুস্মিতা গোস্বামী