মাধ্যমিকে রাজ্যে দশম স্থান অধিকার করেছে চয়নিকা মুর্মু। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৩। বেলডাঙার প্রণব আনন্দ বিদ্যাপীঠ থেকে চয়নিকা মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। কোন বাধাধরা নিয়ম নয়, পড়াশোনা করতে যতক্ষণ ভাল লাগত, ততক্ষনই পড়ত চয়নিকা।
চয়নিকার বাবা স্কুলের শিক্ষক। ছোটবেলায় পড়াশুনায় তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসক হতে পারেননি। আর সেই কারণেই চয়নিকা চিকিৎসক হতে চায়। অনেক রাত পর্যন্ত পড়াশুনা করলে, সবসময় পাশে বসে থাকত বাবা, জানিয়েছে চয়নিকা।
advertisement
তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত চয়নিকা। পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ভুক্ত হয়েও সে যেভাবে মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে, তাতে তার প্রতিবেশী থেকে পরিজন সকলেই অভিনন্দন অত্যন্ত খুশি। চয়নিকা জানিয়েছে, বাবা ভাল ছাত্র হলেও টাকার অভাবে ডাক্তারি পড়তে পারেনি। তাই সে বাবার সেই সাধ পূর্ণ করতে চায়। বড় হয়ে চিকিৎসক হয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করতে চায় চয়নিকা।
Pranab Kumar Banerjee