সিবিআই সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম জেলায় চাকরি বিক্রির র্যাকেটে যুক্ত ছিলেন কৌশিক ঘোষ, জীবন কৃষ্ণ সাহা-সহ বহু এজেন্ট। লেনদেন হত কোটি কোটি টাকায়। জানা যায়, কৌশিক ঘোষের সঙ্গে জীবন কৃষ্ণ সাহার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন কৌশিকের দাদা শিক্ষক সৌমিত্র ঘোষ। এই সৌমিত্র ঘোষ এবং জীবন কৃষ্ণ দু'জনেই বীরভূমের নানুর এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন।
advertisement
আরও পড়ুন: এতবড় ধাপ্পাবাজি! জীবনকৃষ্ণের চাকরি নিয়ে যা জানল সিবিআই, জানলে মাথায় হাত পড়বে যে কারও
পরে কৌশিক ঘোষ ও জীবন কৃষ্ণের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। তৈরি হয় এক অটুট বন্ধুত্বের সম্পর্ক। কৌশিক ঘোষের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার ভড়ঞা গ্রামে। বাবার নাম মহিপতি ঘোষ। পড়াশোনার সুবাদে ছোট থেকেই কৌশিক ঘোষ ভাড়াবাড়িতে সাঁতরাগাছিতে থাকতেন। ওখানেই একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। গত দু’মাস আগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন কৌশিক ঘোষ-সহ আরও কিছু এজেন্ট।
তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই সিবিআই জানতে পারে একটা সময় কৌশিক ঘোষ শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় কোটি কোটি টাকা তুলেছেন। প্রথমে কৌশিক ঘোষের এজেন্ট হিসাবেই কাজ করতেন বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা। যদিও ২০২১ সালে বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ব্যবসা নিজেই শুরু করেন জীবন কৃষ্ণ। পরে কৌশিক ঘোষ এবং জীবন কৃষ্ণ সাহা দু'জনেই চাকরি বিক্রির মূল পাণ্ডা হয়ে ওঠেন।
সূত্রের খবর, দিল্লিতে একটি পেট্রোলিয়াম সংস্থায় মোটা বেতনের চাকরি করতেন কৌশিক। কিন্তু সেটা ছেড়ে দিয়ে চাকরির মিডলম্যান হিসাবে কাজ শুরু করেন। গ্রুপ-সি থেকে গ্রুপ-ডি, বিভিন্ন চাকরি বিক্রির ক্ষেত্রে মিডলম্যান হিসাবে কাজ করেছেন কৌশিক ঘোষ। এমনটাই দাবি, সিবিআইয়ের।