এই তালিকা প্রকাশের পর স্বভাবতই চাকরি দুর্নীতি নিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেল সিপিআইএম। বুধবারের ওই তালিকায় নাম রয়েছে সিপিআইএম বারাসাতের প্রথম সারির বেশ কয়েকজন নেতার। নাম প্রকাশ করে তাপস রায় বলেন, ''চাকরি দুর্নীতি নিয়ে সিপিআইএম সবথেকে বেশি সরব হয়েছে। চাকরি দেওয়ার নাম করে যারা টাকা নিয়েছে আমরা সেটা সমর্থন করি না। কিন্তু সিপিআইএম যে চিরকুট দুর্নীতি করেছে এটাই তার প্রমাণ।''
advertisement
আরও পড়ুন: চল্লিশ মিনিটের প্রাণঘাতী আগুন, পুড়ে ছাই বাবা-ছেলে! সাতসকালে হাড়হিম ঘটনা কলকাতায়
বনমন্ত্রী বলেন, ''চোরের মায়ের বড় গলা। এটা বারাসাত পুরসভার মাত্র ৭টি ওয়ার্ডের তালিকা। আরও তালিকা প্রকাশ্যে আনা হবে। সেই তালিকাও তৈরি হচ্ছে। আমরা সব প্রকাশ্য আনব। এই তালিকায় যেমন শিক্ষক আছে, তেমনই বিডিও অফিস, সমবায় ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন দফতরে চাকরি দেওয়া হয়েছে। অনেকে চাকরি করছে, অনেকে অবসর নিয়েছেন। মনে রাখবেন, আমরা এই সব তালিকা নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হলে তাঁদের বেতন, পেনশন বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, সব টাকা ফেরত দিতে হবে।''
আরও পড়ুন: ৭১,০০০ চাকরির নিয়োগপত্র বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী, মোদির কর্মসূচি ঘিরে তুঙ্গে শোরগোল
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এখন রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল। চলছে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের পালা। বিরোধীদের আক্রমণে কোণঠাসা শাসক দল। তার থেকে বের হাওয়ার উপায় হিসেবে এখন তারা পূর্বতন সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তুলতে শুরু করেছে। অভিযোগ উঠেছে, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর পরিবারের লোকজন দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সম্প্রতি জানিয়েছেন, ঘটনার অভিযোগ যদি মিথ্যা হয় তাহলে এমন রটনার নিন্দা করা হবে। তার দাবি, সিপিএমের সূত্র থেকেই এই তালিকা পাওয়া গিয়েছে। তবে তালিকা সন্দেহজনক তো বটেই। কারণ বাম আমলে বেকারের সংখ্যা নিহাত কম ছিল না। সেই সময় দাঁড়িয়ে একটি পরিবার থেকে এতজন চাকরি পাওয়া নেহাত কাকতালীয় নয়। ওই তালিকা অনুযায়ী, সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী, শ্যালিকা সহ পরিবারের মোট ১৩ জনের চাকরির অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের পর এবার নতুন অভিযোগ সামনে আনলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরা।
----জিয়াউল আলম