বিশেষভাবে সক্ষম প্রীতম ও কুশল। হুইল চেয়ার বা ক্যাচার ছাড়া উঠে দাঁড়ানো ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। তবে মনের ইচ্ছা প্রবল। হুইল চেয়ারে ভর করেই প্রীতম পৌঁছে যায় খেলার মাঠে, আবার একই ভাবে সংসারের হাল ধরতে হাতের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে প্রীতম।
advertisement
অন্যদিকে উত্তর চব্বিশ পরগনার কুশল পেশায় প্রাইভেট টিউটর। প্রতিদিনের ব্যস্ততার কাটিয়ে আর পাঁচ জনের মত কুশল ও প্রিতমের প্রবল ইচ্ছা জাগ্রত তারকেশ্বরের তারকনাথ এর কাছে পৌঁছে বাবার মাথায় জল ঢালবে। ইচ্ছে মতোই প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল প্রায় ১ মাস আগে। অবশেষে সেই ইচ্ছে পূরণ, কষ্ট হলেও ইচ্ছে পূরণ করতে পেরে বেজায় খুশি দু’বন্ধু।
এ প্রসঙ্গে হাওড়ার প্রীতম মেদ্দা জানায়, হুইলচেয়ার ম্যারাথন বা খেলাধুলায় অংশগ্রহণ খুব সাধারন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার হুইল চেয়ারে পাড়ি দিয়ে তারকেশ্বরের বাবার কাছে পৌঁছানো একটা অন্য অভিজ্ঞতা। কষ্টের মধ্যে দিয়েও রয়েছে আনন্দ। আগামী দিনে এভাবেই বাবার কাছে পৌঁছতে চাই।অন্যদিকে কুশল মন্ডল জানায়, বিশেষভাবে সক্ষম হলেও ইচ্ছা থাকে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মত জীবন কাটানো। সেই ইচ্ছে থেকেই দ্বিতীয়বার তারকেশ্বরে পৌঁছানো। বাবার কাছে প্রার্থনা জীবনের পথ আরও সহজ হোক।
হুইল চেয়ারে নির্ভর মানুষও যাতে ইচ্ছা পূরণ করতে পারে সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এগিয়ে আসা। যদিও এই ইচ্ছে পূরণে সাধন মানুষের সহযোগিতা কাম্য।সাধারনের তারকেশ্বর তীর্থে পৌঁছন খুব সাধারন বিষয় হলেও, বিশেষ ভাবে সক্ষম প্রীতম ও কুশলের এই মনবল অনন্য। তীর্থক্ষেত্রে আশা হাজারওমানুষ কুর্নিশ জানিয়েছে দুই বন্ধুর প্রচেষ্টাকে।
Rakesh Maity