বৃহস্পতিবার সকালে শরৎচন্দ্রের বাড়ির গিয়ে দেখা যায় বাড়ির ভেতরে উঠোনে এক কোমর জল। বাড়িটি দেখাশোনা করার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি জানান, শেষ ৭৮ এর বন্যার পরে এতটা জল দেখা যায়নি এই এলাকায়। ১৯৭৮ সালের ভয়াবহ বন্যার পর আবারও এভাবে জলমগ্ন হল শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। উল্লেখ্য ডউইলটির এই গ্রামের বাড়িতেই তাঁর জীবনের বহু কালজয়ী গল্প, উপন্যাস রচনা করেছেন কথাকার শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে রূপনারায়ণের তীরে ছবির মতো সাজানো এই গ্রামে প্রায়ই ভ্রমণ পিপাসুদের ভিড় চোখে পরে। তবে স্থানীয় মানুষদের কথায় বহু বছর পর ফের গ্রাম ভাসাল রূপনারায়ণ।
advertisement
এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামে পাকা রাস্তা ভেঙে জল ঢুকছে গ্রামের মধ্যে। এলাকার মানুষ ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। এলাকার এক পঞ্চায়েত সদস্যের আশংকা, "এইভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে হয়ত গোটা এই গোবিন্দপুর গ্রামটিই জলের তলায় চলে যেতে পারে। কমপক্ষে হাজারটির উপর বসতবাড়ি রয়েছে নদীতীরবর্তী ছোট্ট এই গ্রামে।
প্রসঙ্গত, ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল প্রশাসন। ঝড়ের তাণ্ডব দেখা না গেলেও হুগলি ও রূপনারায়ণে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের কারণে প্রাবিত হয়েছে শ্যামপুর ১ এবং ২ ব্লকের ১৫টি পঞ্চায়েতের অন্তত ৬০টি গ্রাম। প্রশাসনের প্রাথমিক রিপোর্ট, দুই ব্লকের লক্ষাধিক মানুষ দুর্যোগের কবলে পড়েছেন। দুর্গতদের বিভিন্ন স্কুলবাড়িতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাঁদের দেওয়া হয়েছে শুকনো ও রান্না করা খাবার। বুধবার দুপুরে আছড়ে পড়ার কথা ছিল ‘ইয়াস’-এর। মোকাবিলায় প্রস্তুত ছিল দুই ব্লকের প্রশাসন। প্রবল ঝড়ের আশঙ্কা থাকলেও তা হয়নি। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে। তবে, সমস্যা হয় পূর্ণিমার ভরা কটাল এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে হুগলি ও রূপনারায়ণে জলোচ্ছ্বাসে। ক্রমশ বাড়তে থাকে নদীর জলস্তর। এদিকে এখনও ভারী ও মাঝারি বৃষ্টি জারি রয়েছে কলকাতা-সহ আশেপাশের জেলাগুলিতে। আর তারই জেরে চিন্তায় স্থানীয় বাসিন্দারা।