জানা যায়, এই প্রতিষ্ঠানে যে পুরুষ পুরোহিত পুজো করতেন। লক ডাউন এর কারণে তিনি ২০২১ সালে আসতে পারেননি। তখন থেকেই রীতা দেবী পুজো করে আসছেন। তিনি বলেন, আমাদের মহিলা প্রতিষ্ঠান। তাই ভাবলাম অন্য নতুন কাউকে ডাকব কেন! তাই নিজেই পুজো করেছি।’’ ঝাড়গ্রামের বিদ্যাসাগর বাণীভবনের অধীনে স্কুল, মহিলা শিক্ষক-শিক্ষণ কেন্দ্র, ভোকেশনাল কোর্স ছাড়াও পাঁচটি ইউনিট রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের 'হাতেখড়ি' অনুষ্ঠান 'বয়কট' শুভেন্দু অধিকারীর! সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন 'এই' কারণ
নারী শিক্ষা সমিতির কলকাতা ও ঝাড়গ্রাম দু’টি কেন্দ্রের সহ-সম্পাদিকা রীতা ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত। বছর ছাপান্নর মহিলার জন্ম উত্তর ২৪ পরগনার বাগুইহাটির অর্জুনপুরে। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের পুজোর দায়ভার তুলে নেন। ছাত্রীদেরও বক্তব্য মহিলা পুরোহিত দিয়েই তাদের পুজো হবে এটাও একটা নতুন দিগন্ত।
রীতা দেবী বলেন, “ছেলে, মেয়ে নির্বিশেষে সরস্বতী সকলের দেবী। বৈদিক যুগে তো মেয়েরাই পুজো করতো । আমি কোনও প্রথা ভাঙ্গিনি । আমি তো পুরনো প্রথাকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি”। তিনি আরও বলেন, “আমি খুব ছোটবেলা থেকেই পূজো করি। আমরা ব্রাহ্মণ। আমাদের বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো, সরস্বতী পুজো আমাকে দিয়েই করাতেন আমার বাবা। আমার বাবাই আমাকে পুজো শিখিয়েছেন”। সব ধরনের পুজোতে নারী সমাজকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান রীতা বন্দ্যোপাধ্যায়।