ভাগীরথী তীরের শহর কালনাকে মন্দির শহর বলা হয়। সেই শহরে সরস্বতী পুজো উপলক্ষে তৈরি হয়েছে দেশের আরও কিছু মন্দিরের আদলে মন্ডপ। থিমে একে অপরকে টেক্কা দিতে চাইছে সকলেই। শুধু কালনা নয়, পূর্বস্থলী সহ মহকুমা জুড়ে কোথাও তিন দিন, কোথাও চার দিন ধরে সরস্বতী পুজো হয়।
আরও পড়ুন: উষ্ণ সরস্বতী পুজো, হঠাৎ উধাও শীতের আমেজ! আবহাওয়ার বিরাট খবর, বড় বদল
advertisement
বারুইপাড়া দক্ষিণ বারোয়ারির থিম কাশী বিশ্বনাথ মন্দির। নাটমঞ্চ-সহ তিনটি মন্দির তৈরি করা হয়েছে। একটিতে রয়েছেন বিদ্যার দেবী। পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার এভারগ্রিন ক্লাব বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে মন্ডপ তৈরি করেছে। শ্বাসপুর শীতলা সঙ্ঘের থিম মথুরার কৃষ্ণমন্দির। নানা ফলের খোসা,বীজ দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শিল্পকর্ম। জগন্নাথতলার শিব মন্দিরের অনুকরণে মণ্ডপ তৈরি করেছে গোলক সমিতি। লালবাগান এলাকার নটরাজ ক্লাবে বৌদ্ধ মন্দির, সূর্য সমিতির বৃন্দাবনের চন্দ্রোদয় মন্দিরের আদলে মণ্ডপও চোখ টানবে দর্শকদের।
আরও পড়ুন: সারা দেশে এক ছবি, ইন্দোরে অন্য! বন্ধ পাঠানের শো, কারণ শুনলে পায়ের তলার মাটি সরে যাবে
কালনা রাজবাড়ি এলাকায় প্রাচীন মন্দিরগুলির কাছাকাছি মাথা তুলেছে ত্রিধারা ক্লাবের মণ্ডপ। এখানে গুজরাতের নীলকণ্ঠ মন্দিরের আদলে মন্ডপ তৈরি করা হয়েছে। থাকছে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরের একটি ব্যান্ডও জুবিলি স্টার ক্লাব গুজরাতের স্বামী নারায়ণ মন্দিরের আদলে মন্ডপ গড়েছে।মন্দিরের গায়ে দেবদেবীর মূর্তি, সূক্ষ কারুকাজ যথাসাধ্য ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পীরা। সব মিলিয়ে দর্শকদের চোখ টানতে চেষ্টা ত্রুটি রাখছে না বড় পুজো কমিটিগুলি। সব মণ্ডপেই থাকছে মানানসই থিমের প্রতিমা। থাকছে বাহারি আলোকসজ্জা। অনেক পুজো মণ্ডপের সামনে মেলাও বসেছে। বুধবার থেকেই মন্ডপে মন্ডপে ঘুরে প্রতিমা দর্শন শুরু করে দিয়েছেন বাসিন্দারা।