সূত্র মারফত জানা যায়, গত ১৪ তারিখ শিলচর এক্সপ্রেস করে অসম রাজ্যের বাসিন্দা বিনয় কাছারি নামে এক ব্যক্তি অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ফিরছিলেন। মানসিক সামান্য কিছু সমস্যা ছিল তার, ট্রেনের মধ্যে প্রচন্ড গরমে অচৈতন্য হয়ে ভুলবশত চলে আসেন হুগলি জেলার ডানকুনিতে। এরপর কোন জায়গা বুঝতে না পেরে হঠাৎই চলে আসেন নদিয়ার শান্তিপুরে। এদিন রাতে ওই ব্যক্তিকে শান্তিপুর ব্লকের ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক পার্শস্থ বাথানগাছি এলাকায় এক অবাঙালি মাঝ বয়সী ব্যক্তিকে ইতস্তত ঘোরাঘুরি করতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। এরপর খবর দেওয়া হয় শান্তিপুর থানায়।
advertisement
আরও পড়ুন: গঙ্গা স্নানে এসে নাক-মুখ ঢাকা দিতে হচ্ছে পূর্ণ্যার্থীদের! খুব বাজে পরিস্থিতি
ওসির দায়িত্ব সামলানো সার্কেল ইন্সপেক্টর কাজল ব্যানার্জির নির্দেশে দায়িত্বশীল পুলিশ আধিকারিকদের মাধ্যমে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় থানায়। তাকে খাওয়া দাওয়া সহ বিশ্রামের সুযোগ করে দেওয়া হয় থানাতেই। রাতে কিছুটা জিজ্ঞাসাবাদ করলেও সামান্য মানসিক ভারসাম্য হওয়ার কারণে তিনি স্পষ্ট নিজের নাম ঠিকানা বলতে পারেননি । এরপর এদিন সকালে সার্কেল ইন্সপেক্টর নিজে ওই ব্যক্তিকে হিন্দি ভাষার মাধ্যমে গুগল ম্যাপ থেকে তার কথা অনুযায়ী নানা রকমের ছবি দেখানোর পর তিনি চিনতে পারেন। বাড়ির ঠিকানা অসম বলে জানান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এরপর তার কথা অনুযায়ী অসমের উল্টা পানি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিখোঁজ হওয়া বিনয় কাছারি নামের ওই ব্যক্তিকে, তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয় এবং নিখোঁজ ব্যক্তিকে ফেরত পেতে দ্রুত শান্তিপুরে পৌঁছানোর কথা জানান হয়। এদিন পরিবারের লোকজন শান্তিপুর থানায় এসে ৪২ বছর বয়সী বিনয় কাছারিকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যায়। এই হারিয়ে যাওয়া এবং ফিরে পাওয়া ঘটনার প্রসঙ্গে বিনয় বাবুর পরিবারের লোকজন জানান, ১৪ তারিখে বিনয় বাবুর সঙ্গে শেষ যোগাযোগ হয়। এরপর সেখানকার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি সহ সামাজিক মাধ্যমে খোঁজ পাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম পোস্ট করা হয়। যদিও রেল পুলিশের তৎপরতায় তারা ওই ব্যক্তির ব্যাগ, মোবাইল ফোন পেয়েছিল গতকালকেই। কিন্তু বিনয় বাবুর খবর পাননা পরিবার। পরিবার সদস্যকে ফিরে পেয়ে খুশি তারা। তবে বাংলার পুলিশের তৎপরতা এবং শান্তিপুর থানার পুলিশ আধিকারিকদের ব্যবস্থাপনার ভুয়সি প্রশংসা করে পরিবার।
Mainak Debnath






