তবে শান্তিপুর নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তো বটেই এমনকি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেও এই পুজো করতে দেখা যায়। কেউ করছে ২৯ বছর ধরে, কেউ করছে তিন বছর ধরে, এছাড়াও কারো বাড়িতে বহু প্রজন্ম ধরে এই পুজোর প্রচলন রয়েছে। এরকমই সন্ধান পাওয়া গেল শান্তিপুর সৌরাজ পালের মৃৎ কারখানায়। এই কারখানা থেকে গতকাল একটি বাসন্তী মূর্তি সড়কপথে পাড়ি দিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরাতে। আজ আরও একটি মূর্তি রওনা হল। এরকমই পরপর মূর্তি শান্তিপুরের মৃৎ কারখানাগুলি থেকে রওনা দিচ্ছে শান্তিপুরের বিভিন্ন প্রান্তে এবং এই বসন্তকালের দূর্গা পূজার সংখ্যাও কিন্তু নেহাত কম নয়। শুধু তাই নয়, পাঁচ দিনের এই বাসন্তী পুজোর অষ্টমীর দিনে বহু জায়গায় অন্নপূর্ণা পুজোরও প্রচলন রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বলা নেই, কওয়া নেই, দুম করে ভাড়া বৃদ্ধি দ্বিগুণ! মনমোহনপুর ফেরিঘাটে যেতেই মাথায় হাত যাত্রীদের
উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর থেকে আগত আকাশ চ্যাটার্জি জানাচ্ছেন, এ বছর ২৭ বছরে তাদের পুজো পদার্পণ করল, প্রথম থেকেই বাংলা মুখের আদলে ঠাকুর হয়। চার বছর হল শান্তিপুর থেকে তাদের বাড়িতে ঠাকুর যাচ্ছে। শান্তিপুরের আগমেশ্বরী মাতার যে পুজো হয় সেটি তার মামার বাড়ির বংশের পুজো। তবে এই পুজো তারা কেবল অষ্টমীর দিনই করে। পুজোর যেমন রীতিনীতি রয়েছে, সমস্ত কিছু মেনেই করা হয়। প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজন সকলে একসঙ্গে মিলে বসন্তকালেই আরও একবার দুর্গা পূজার অনুভূতি নেয় সকলে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
হাবরা থেকে মূর্তি নিতে আগত মনোরঞ্জন দাস জানান, “পুজো এই নিয়ে তিন বছর হচ্ছে। তার মধ্যে দু’বছর ধরে শান্তিপুরের মৃৎশিল্পীর বানানো মূর্তি আমরা নিয়ে যাচ্ছি। বাসন্তী পুজো ছেলের মানসিক ছিল, তারপর থেকেই আমরা এই পুজো করে আসছি।”
মৈনাক দেবনাথ





