তবে এবার অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে এই পার্থেনিয়াম আসলে কী! এই পার্থেনিয়াম একটি এক বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। যার পাতলা সবুজ পাতা। এক-একটি গাছ দুই থেকে চার ফুট পর্যন্ত হয় লম্বা। এতে খুবই ছোট ছোট সাদা ফুল ধরে। একটি উদ্ভিদ মাত্র চার থেকে পাঁচ মাস বাঁচে। তবে, এটি খুব দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে।কারণ এই গাছের বীজ খুব হালকা। অতি সহজেই বাতাসে বাহিত হতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: আর অবহেলায় থাকবে না নন্দলাল বসু, রামকিঙ্কর বেইজের ভাস্কর্য! এবার বড় পদক্ষেপ বিশ্বভারতীর
এই গাছ পরিবেশের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এই গুল্ম জাতীয় গাছ নির্মূল করতে উদ্যোগ নেই পুর প্রশাসনের। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রাণের শহর বীরভূমের বোলপুর-শান্তিনিকেতনের রাস্তায় অথবা কোপাই নদীর তীরে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গজিয়ে উঠেছে পার্থেনিয়াম। ধরেছে ফুলও। এই পার্থেনিয়াম শুধু মানুষের জন্য ক্ষতিকর তা নয়, গবাদিপশুর জন্যও প্রচণ্ড বিষাক্ত। বোলপুরের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, “রোজ সকালে মর্নিং ওয়ার্কে বেরোলেই চোখ চুলকায়, শ্বাস-প্রশ্বাসেও ইদানিং সমস্যা হচ্ছে। এতদিনে বিভিন্ন ধরনের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েছি, কিন্তু তাতেও কোন সুরাহা মেলেনি, তবে এবার জানতে পারলাম এই গাছের জন্যই এই সমস্যা হচ্ছে। আমরা নিজেরাও জানতাম না এই গাছ এতটা ক্ষতিকারক।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে এটা তো গেল পার্থেনিয়াম গাছের কথা। এবার প্রশ্ন এই গাছের উৎপত্তি কোথায় থেকে। প্রথমে ভারতে এই উদ্ভিদ ছিল না। এটি মূলত উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, মেক্সিকোর উদ্ভিদ। জানা গিয়েছে, আমেরিকা থেকে খাদ্যশস্য আমদানির সময় ১৯৪৫ সালে পার্থেনিয়ামের বীজ ভারতে আসে। বিশেষ করে গম আমদানির সময় চলে এসেছিল পার্থেনিয়ামের বীজ, এমনটাই জানা যায়৷ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমনকি পশ্চিমবঙ্গের আনাচে-কানাচেও পার্থেনিয়াম গজিয়ে উঠতে দেখা যায় ৷ এই গাছ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভয়ংকর সমস্যার সম্মুখীন হবেন সাধারণ মানুষজন।
সৌভিক রায়