কথিত আছে আগে এই গোপী বাবুর বাড়ির কামানের শব্দ শুনে আশেপাশের গ্রামের দুর্গাপুজো শুরু হত। সব মিলিয়ে মহাসমারোহে ছাতিনাকান্দি গোপী বাবুর বাড়ির দুর্গাপুজোর সন্ধির পুজোর দিন কামান ফাটানো অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল এবছর মঙ্গলবার দুপুরে সন্ধি পুজোর নির্দিষ্ট সময়ে। মা দুর্গার অনেক রূপের মধ্যে একটি রূপ হল মহিষাসুরমর্দিনী। মা দুর্গার এই রূপেই তিনি অসুর নিধন করেছিলেন। দুর্গাপুজোর পিছনে বেশ কিছু অসুর বধের কাহিনী রয়েছে, যার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে সন্ধিপুজোর। অষ্টমী শেষ হয়ে যখন নবমী তিথি শুরু হয় তখনই সন্ধিপুজো করা হয়। আসলে সন্ধিপুজো সন্ধ্যার প্রতীক।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জীবনের ‘এই’ ৬ কথা খুবই গোপন, কখনও কাউকেই বলবেন না! সামান্য ভুলেও তছনছ জীবন, যেতে পারে চাকরি
আরও পড়ুনঃ দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ! পুজোয় কোথায় মিলবে সুস্বাদু নিরামিষ খাবার? বেস্ট অপশন জানুন
এই সময়েই মা দুর্গা চন্ড ও মুন্ড নামে দুই ভয়ঙ্কর অসুরকে বধ করেছিলেন। সন্ধিপুজোর নৈবেদ্যতে একটি বিশেষ ব্যাপার রয়েছে। তাই সন্ধিপুজোর আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখতে চান না। সন্ধিপুজোয় দেওয়া হয় ১০৮ পদ্ম, ১০৮ টি এবং ১০৮ মাটির প্রদীপ জ্বালানো হয়। নৈবেদ্য দেওয়া হয় গোটা ফল, জবা ফুল, সাদা চাল, শাড়ি, গহনা, এবং সাজ। যদিও পরম্পরা নিয়ম অনুযায়ী মঙ্গলবার ঠিক দুপুর ১টা ২১মিনিটে দুটি কামান ফাটিয়ে এই সন্ধি পুজোর সুচনা করা হল ছাতিনাকান্দি গোপীবাবুর বাড়িতে।