এদিন সন্দেশখালির এক গ্রামে কালাজ্বরে আক্রান্ত এক ব্যক্তির খোঁজখবর নিতে পৌঁছন বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ড. অনুপম ভট্টাচার্য। তিনি আক্রান্তের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন, চিকিৎসার অগ্রগতি দেখেন এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবাও দেন। ড. ভট্টাচার্য জানান, “গ্রামীণ এলাকায় মাটির বাড়ি ও আর্দ্র পরিবেশের কারণে বেলে মাছির জন্ম বেশি হয়। এরা উড়তে পারে না, লাফিয়ে লাফিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তবে আতঙ্কের কিছু নেই, সচেতনতা থাকলেই সংক্রমণ অনেকটাই আটকানো সম্ভব।” তিনি স্থানীয়দের জন্য কিছু পরামর্শও দেন। রাতে অবশ্যই মশারি ব্যবহার, ঘর শুকনো ও আলো-বাতাস চলাচলযোগ্য রাখা, মাটির দেওয়ালের আর্দ্রতা কমানো, বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা।
advertisement
আরও পড়ুন: কোনও ভাবেই যেন SSC নিয়োগে দাগীরা জায়গা না পায়, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, দেখুন ভিডিও
এদিন স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দলও এলাকাজুড়ে সচেতনতা কর্মসূচি চালায়। তারা গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে দেন কীভাবে বালি মাছি জন্মায়, কীভাবে তা রোধ করা যায় এবং কোন উপসর্গ দেখলে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে। গ্রামীণ মাটির বাড়িতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব নতুন নয়— তবে সঠিক তথ্য, সতর্কতা ও নিয়ম মেনে চললেই কালাজ্বর থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব— এই বার্তাই পৌঁছে দিলেন স্বাস্থ্য আধিকারিক।