পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, চোখধাঁধানো মণ্ডপের পাশাপাশি আকর্ষণীয় দুর্গা প্রতিমা ও আলোকসজ্জা দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করছে। প্রতি বছরের মতো এই বছরও তাঁদের আকর্ষণীয় থিম দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। পুজো উদ্যোক্তা সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবার কর্ণাটকের হাসন জেলার চেন্নাকেশব বিষ্ণু মন্দিরের আদলে মণ্ডপ গড়ে তাক লাগিয়েছিলেন তাঁরা। মণ্ডপ ও আলোকসজ্জা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করেছিল। তৃতীয়া থেকে দিনরাত উপচে পড়া ভিড় হয়েছিল। এবারের মণ্ডপ থাইল্যান্ডের পাটায়ায় অবস্থিত একটি অসমাপ্ত মিউজিয়াম ‘স্যাংচুয়ারি অব ট্রুথ’-এর অনুকরণে তৈরি হয়েছে।
advertisement
১৯৮১ সালে ওই মিউজিয়ামের নকশা করেছিলেন থাই ব্যবসায়ী লেক ভিরিয়াফান। ১৩ হেক্টর জমির উপর অবস্থিত এই মিউজিয়াম একটি মন্দির এবং একটি দুর্গের সংমিশ্রণে নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে ওই নির্মাণাধীন মিউজিয়ামে কেবল কাঠের খোদাই করা মূর্তি এবং ভাস্কর্য রয়েছে।
দুর্গাপুরের এই মণ্ডপ তৈরি করতে বাঁশ, প্লাইউড, কাঠ, বালি ও কাঠের গুঁড়ো সহ সমস্ত পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। কাঠের কারুকার্যময় মণ্ডপের অন্দরমহলে বাটি, চামচ ও স্টিলের সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি নানান নকশা রয়েছে। পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক দেবাশিস তা ও অশোক ভট্টাচার্য জানান, এই বছর তাঁদের পুজো ৬৫ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। বিশালাকার এই মণ্ডপে সূক্ষ কারুকার্য ও নকশা থাকায় মণ্ডপ তৈরিতে প্রায় তিন-চার মাস সময় লেগেছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রতি বছরের মতো এবারও প্রতিমার মধ্যে আধুনিকতার ছোঁয়া রয়েছে। প্রতিমার উচ্চতা প্রায় ১৬ ফুট। দুর্গাপুরের সুখ্যাত মৃৎশিল্পী অরুণ পাল প্রতিমা গড়েছেন। আলোকসজ্জার মধ্যেও বিশেষত্ব রয়েছে। পুজোর বাজেট প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। তৃতীয়ার দিন উদ্বোধন হয়েছে। দুর্গাপুরের এই পুজো কমিটি এখনও অবধি আটবার বিশ্ববাংলা সেরার শিরোপা পেয়েছে।