বুধবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকা জুড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই মহিলার নাম বাসন্তী সাহা (৬০)। ইতিমধ্যেই পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠিয়েছে। মায়ের দেহ উদ্ধারের পর ছেলে সুদম সাহাকেও থানায় নিয়ে যায় সামশেরগঞ্জ পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ ঘরে-বাইরে সব জলময়, শান্তি নেই কোথাও! কী ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন, মুর্শিদাবাদে সরেজমিনে লোকাল ১৮
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, মা এবং ছেলে দুজনেই মানসিক ভারসাম্যহীন। একসঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন তারা। নিহত মহিলার ছেলে সুদম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন। কিন্তু মাঝেমধ্যেই তিনি মানসিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়তেন। সম্প্রতি মানসিক সমস্যা আরও বাড়তে শুরু করে সুদম সাহার।
এদিকে দিন কয়েক ধরেই প্রতিবেশীরা লক্ষ্য করছেন, ভিতর থেকে বাসন্তীদের বাড়ির দরজা বন্ধ। কোনো রকম সাড়া শব্দ আসছিল না বাসন্তী সাহা এবং ছেলে সুদমের। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার জন্য স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো গুরুত্ব না দিলেও বুধবার সকাল থেকে হঠাৎই দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে ওই বাড়ি থেকে। তারপরেই খবর দেওয়া হয় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় পুলিশ বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মৃত মায়ের পাশেই বসেছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে সুদম সাহা। পুলিশ জানিয়েছে, দেহ ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলেই পুরো রহস্য উন্মোচিত হবে। ছেলে এবং মা দুজনেই মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলেই জানিয়েছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। পুরো বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।