হায়দ্রাবাদের ওয়াসান নামের একটি সংস্থা এই কাজে সহায়তা করছে সুন্দরবনের দুটি ব্লকে। এই সংস্থাগুলির উদ্যোগে সুন্দরবনের কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব মধ্য গুড়গুড়িয়ার বহমুখী ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে বহু কৃষকদের নিয়ে মুগ চাষ ও নটে শাকের ভ্যারাইটি বীজের ওপর একটি প্রশিক্ষন শিবির হয়। যাতে সুন্দরবনের বাসন্তী ও কুলতলি ব্লক থেকে বহু পুরুষ ও মহিলা কৃষক অংশ নেন। এই শিবিরে মুগ ও নটে শাক চাষের বিষয়ে কৃষকদের কাছে বিস্তারিত আলোকপাত করেন নিমপীঠ শ্রী রামকৃষ্ণ আশ্রমের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের কৃষি বিশেষজ্ঞ, হায়দ্রাবাদের ওয়াসন সংস্থার সদস্যরা।
advertisement
আরও পড়ুন: গরমের পর কালবৈশাখী, দফারফা পাট চাষের!
এই চাষ কীভাবে করতে হবে, কীভাবে মাটির যত্ন নিতে হবে, কতটা পরিমাণ জৈব সার দিতে হবে, বিভিন্ন রোগ ও পোকার হাত থেকে কীভাবে ফসলকে রক্ষা করতে হবে তার উপর বিশদে আলোচনা করা হয়। তাছাড়া এই এলাকায় মুগচাষের জমিতে গিয়ে কৃষকরা কোন বীজের মুগচাষে গ্রোথ এসেছে অর্থাৎ কোন প্রজাতির মুগ চাষ এই এলাকায় করা উচিত তাঁর উপর তাঁদের মতামত দেন। এ ছাড়া গুরুত্বহীন হয়ে যাওয়া এই ধরনের চাষের প্রতি চাষিদের আগ্রহ বাড়াতে এবং গ্রীষ্মকালীন মুগচাষের প্রতি কৃষকদের আরও বেশি করে সচেতন করতে হাতে কলমে একটি প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজিত হয়।
সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে এই চাষ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও হারিয়ে যাওয়া এই ধরনের শষ্য ব্যবসায়িকভাবে চাষ করে কত বেশি মুনাফা আসতে পারে সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। লবণ সহনশীল সুন্দরবনে বিকল্প এই চাষের মাধ্যমে কর্মসংস্থান আরও মজবুত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
সুমন সাহা