করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশ জুড়ে কয়েক দফায় লকডাউন পালিত হয়। সেই লকডাউনে চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন দিন আনি দিন খাই পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি নিম্নবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা। তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছিল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বর্ধমান শহরের বিভিন্ন প্রান্তে লকডাউনের দিনগুলিতে গরিব মানুষদের জন্য রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতি সদস্যরা বলছিলেন, গরীব বাসিন্দাদের খাওয়ার ব্যবস্থা হলেও তাদের চুল দাড়ি কাটার কোনও উপায় ছিল না। কারণ লকডাউনের সময় করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সেলুন বন্ধ ছিল। সেইসব সেলুন এখন খুলেছে। তবে পথ শিশু থেকে শুরু করে ভবঘুরে সহ অনেকেরই চুল দাড়ি কাটার অর্থ নেই। তাই তাদের পরিচ্ছন্ন করে তুলতে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
advertisement
শুধু চুল দাড়ি কেটে তাদেরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তোলাই নয়, তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সাবান শ্যাম্পু। উদ্যোক্তারা জানান, একবার চুল দাড়ি কেটে দায় শেষ করা নয়, এই কর্মসূচি কিছুদিন অন্তর বারে বারেই নেওয়া হবে। কারণ, লকডাউন উঠে গেলেও এখনও অনেকের হাতে কাজ নাই। অনেকের দুবেলা খাবার সামর্থ্য নেই। তাই তাদের পক্ষে সেলুনে গিয়ে অর্থ খরচ করে চুল দাড়ি কাটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাদের জন্যেই আবারও এই উদ্যোগ নেওয়া হবে।
চুল দাড়ি কাটার আগে ক্ষৌরকার ও যাদের চুল দাড়ি কাটা হলো তাদের সকলের হাত স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করা হয়। পরিষ্কার চাদরে শরীর ঢেকে শুরু হয় চুল কাটা। প্রত্যেক বার চুল দাড়ি কাটার আগে কাঁচি ক্ষুর চিরুনি সহ অন্যান্য সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করা হয়। ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতি এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরের বাসিন্দারা।
Saradindu Ghosh