এই মন্দির গুলি পরবর্তীতে নির্মাণ করা হয়, ৮০ দশকের সাঁইথিয়া শহরের ব্যবসায়ীরা সতীপীঠ নন্দিকেশ্বরীর অনেক সংস্কার করে বর্তমান যে মন্দিরটি রয়েছে সেই মন্দিরটি গড়ে তুলেছেন। একটি বিশাল বড় বটগাছ ছাতার মতঘিরে রেখেছে মন্দিরের প্রাঙ্গণকে। এখানে দেবী মূর্তি বলতে গেলে আছে শুধুমাত্র একটি পাথর। পাথরের গায়ে রয়েছে দেবীর তিনটি চোখ আর মাথায় মুকুট।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সরস্বতী পুজো পণ্ড হবে শীত-বৃষ্টিতে? ৮ জেলায় শৈত্য প্রবাহ, এল মেগা সতর্কতা
মুকুটটি রূপালি এবং তিনটি চোখ সোনালি, যদিও মায়ের মূর্তিটি কালো পাথরের কিন্তু বর্তমানে এর রং প্রায় লাল বলাই যায়। কারণ ভক্তরা প্রার্থনার জন্য পাথরের গায়ে সিঁদুর দিয়ে থাকেন আর তার ফলে দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে পাথরটি সম্পূর্ণ লাল আকার ধারণ করেছে।
বীরভূমের মধ্যে বিভিন্নগ্রন্থাগার রয়েছে, সেখানে ডক্টর আদিত্য মুখোপাধ্যায় এবং দেবাশীষ সাহার সম্পাদনায় লিখিত সাঁইথিয়ার ইতিহাস বইটি পড়লেই আপনি জানতে পারবেন বর্তমানে সাঁইথিয়া আগে কি নামে পরিচিত ছিল। কেনই বা তার নাম পরিবর্তন হয়েছে আর সেখানকার মা নন্দীকেশ্বরী মন্দিরের কি ইতিহাস রয়েছে, তাও জানতে পারবেন।
অনেকেই রয়েছেন যারা বিভিন্ন বিখ্যাত জায়গার ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করেন। তারা খোঁজ করে থাকেন এই সমস্ত বইয়ের। তাদের ক্ষেত্রে এই বই বেশ সহায়ক হবে বলেই মনে করেন গ্রন্থাগারের কর্মীরা। এ ছাড়াও বীরভূমের তারাপীঠ সমেত অন্যান্য জায়গারও তথ্য মিলবে এই বইয়ে।
সৌভিক রায়