একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ, এর পর থেকে সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি পর্বে দিল্লির তিহার সংশোধনাগার থেকে ভার্চুয়াল হাজিরায় অংশ নেবেন সায়গল। আর তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিহার সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে। আর এই নির্দেশের পর সায়গলের ঠিকানা যে তিহার, তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। যদিও এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন সায়গল ও তার আইনজীবীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: বড় ধাক্কা খেল সিবিআই, সুপ্রিম কোর্টে বিরাট স্বস্তি পেলেন অনুব্রত মণ্ডল!
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় তদন্তের স্বার্থে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে সায়গলকে জেরা করা প্রয়োজন ছিল ইডি-র। আর দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে রীতিমতো আইনি জটিলতায় পড়তে হয়েছিল ইডিকে। কখনও আসানসোল আদালত, কখনও আবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত ঘুরে শেষমেশ নিজেদের হেফাজতে দিল্লি নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। সেখানে দু’ দফায় নিজেদের হেফাজতে রেখে জেরা করার পর এখন বর্তমানে তিহার সংশোধনাগারে রয়েছেন সায়গল।
গরু পাচার মামলায় সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। সিবিআই হেফাজত শেষে আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন তিনি। আর সিবিআইয়ের মামলার শুনানিতে আসানসোল আদালতে হাজিরা দিতেন সায়গল। এই বিষয়টিকে সামনে রেখে সায়গল হোসেনকে যাতে আসানসোল ফিরিয়ে আনা যায়, তারই চেষ্টা চালানো হয় তার আইনজীবীর তরফে। তাই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে এর আগে আবেদন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: 'তিন দিনের মধ্যে গ্রেফতার না হলে...', নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর বিরুদ্ধেও 'বিস্ফোরক' কুণাল
সূত্রের দাবি, ওই আদালতের তরফে সায়গলের আইনজীবীকে আসানসোল আদালতে আবেদন করার জন্য জানানো হয়েছিল। এর পরই সায়গলের আইনজীবীর পক্ষ থেকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন করা হয় যাতে আসানসোলে ফিরিয়ে আনার অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ।
একই সঙ্গে আদালত মনে করেছে দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নিলে কোনও অসুবিধা নেই এই মামলার হাজিরার ক্ষেত্রে। যা কার্যত অস্বস্তি বাড়ালো সায়গলের জন্য বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। একই সঙ্গে এই রায় যে অনুব্রতর জন্যও সুখকর নয় বলেই মানছেন আইনজীবীরাও। প্রসঙ্গত, সায়গলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে গরু পাচার নিয়ে বেশ কিছু তথ্য হাতে পেয়েছে ইডি।