এবার টেনেটুনে তাদের প্রার্থী কুড়ি হাজার ভোট পেয়েছেন। বাকি ২৫ হাজার ভোট পুরোটাই এবার গিয়েছে কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে। সাগরদিঘির ৬৫টি বুথে কংগ্রেসের কোনও এজেন্টই ছিল না। তা সত্ত্বেও এই ফলাফলই প্রমাণ করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সব বিরোধী শক্তি এক হয়েছিল। সাগরদিঘির ভোটের ফলাফলই ওদের অশুভ আঁতাত প্রকাশ্যে আনল'। তবে এই বিপর্যয়ের সঠিক কারণ কি, তা খতিয়ে দেখতে পর্যবেক্ষকরা অনুসন্ধান চালাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, সাগরদিঘির উপনির্বাচনে ভোটের ফলাফল সামনে আসার পরই দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের খাস তালুকেও কংগ্রেস প্রার্থী বিভিন্ন বুথে বিপুল পরিমাণ ভোটে এগিয়ে। আর এতেই কার্যত ঘুম ছুটেছে শাসক দলের।
advertisement
আরও পড়ুন: বিহার থেকে এসেছিল দুষ্কৃতীরা, গলসিতে যা কাণ্ড ঘটাল, জানলে চোখ কপালে উঠবে
কোনও কোনও মহল থেকে দলীয় অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম শুধু বলেন,' কী কারণে এই বিপর্যয় তা দল তদন্ত করে দেখছে'। সাগরদিঘির ভোটের ফলাফল প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবারই চ্যালেঞ্জের সুরে জানিয়েছেন, 'বিজেপি, কংগ্রেস আর সিপিএমের জোটকে ধ্বংস করবই'। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর কথায়,' বিজেপিরও কিছু লোক ভেবেছেন যে কংগ্রেসই বেস্ট অপশন। তাই হয়তো তাদের একটা অংশও আমাদের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন'।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে দুর্নীতির অভিযোগ, ফল বেরোতেই সরকার গঠনে তাদের পাশেই বিজেপি!
বলাবাহুল্য , একুশের ভোটে তৃণমূলের জয় আর তেইশের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের হাতে সাগরদিঘি। একুশের বিধানসভা ভোটে সাগরদিঘিতে তৃণমূল পায় ৫১ শতাংশ ভোট। এবার তা কমে হল ৩৫ শতাংশ। আর এই হিসেবকে হাতিয়ার করেই শাসকের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়াতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির। এদিকে ভোটের ময়দানে বাজিমাত করে সাগরদিঘির জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস বললেন,' আগের ভোটটা ছিল এনআরসি ভোট। এবার সেটা নয়। এখন মানুষ বুঝতে শিখেছে। সজাগ হয়েছে'।