প্রার্থী দিলীপ সাহা অভিযোগ করেন ২১৩নং বুদ্ধে তাঁর এজেন্ট শ্রীকান্ত হাজরা নিখোঁজ। পুলিশ তাঁর এজেন্টকে তুলে নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ করেন দিলীপ সাহা। অন্যদিকে বিজেপির পাঁচ এজেন্টকে গ্রেফতারের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ১৪৫, ১৪৭ ও ২৪৭ নং বুথের এজেন্টদের পুলিশ গ্রেফতার করে। তৃণমূলের হয়ে পুলিশ এই কাজ করছে বলে অভিযোগ দিলীপ সাহার। কেন পুলিশ ওই এজেন্টদের গ্রেফতার করেছে তা জানতে সাগরদীঘি থানায় গিয়ে পৌঁছন তিনি। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। যদিও পরে তিনজন এজেন্টকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন: সমাজের পাশে দাঁড়াতে অভিনব উদ্যোগ তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের! ধন্য ধন্য করল কোচবিহারবাসী
দিলীপ সাহা বলেন, ওই বুথগুলিতে ভাল ভোট হচ্ছে বলে তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করছে। এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে। আমরা চাই সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্নভাবে ভোট দিক। গণতন্ত্র যেন ধ্বংস না হয়। কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস বুথে বুথে প্রবেশ করে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। এই অভিযোগ তুলে বোখরা ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৭, ৪৮, ৫৪, ৫৫ নং বুধে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। সরগরম হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। যদিও কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, "আমাকে বুথে ঢুকতে বাধা দিয়েছে তৃণমূলের লোকেরা। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চললেও বহিরাগতদের এনে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে তৃণমূল।"
সামসাবাদ হাইস্কুলে ২০৮নং বুধে সকাল সকাল নিজের ভোট দিলেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ২১০ ও ১১ নং বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী তৃণমূল প্রার্থী দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঢুকতে বাধা দেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী আমাকে বুধে ঢুকতে দেয়নি। চক্রান্ত করে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে এইসব কাজ করছে বিরোধীরা। অন্যদিকে দেখা যায় ২০৮ নং বুথে বেজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা ও কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসেরদেখা হলে হাত মিলিয়ে তারা সৌজন্য বিনিময় করেন।
মনিগ্রামে অভিযোগ ওঠে ১২৩ ও ১২ ৪নং বুথে বিজেপিকে ভোট দিলেই মিলছে ঘুগনি মুড়ি। ভোট দিয়ে বেড়ানোর পর দেওয়া হচ্ছে কুপন। দোকানে সেই কুপন দেখিয়ে মিলছে ঘুগনি মুড়ি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা। গোবর্ধনডাঙ্গা অঞ্চলের ঘুগড়িভাঙ্গা ২৩৫ ও ২৩৬ নং বুথে নকল ইভিএম মেশিন দেখিয়ে বুথের বাইরে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে। অন্যদিকে রতনপুর এলাকায় ৭৩ নং বুথে তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে।জঙ্গিপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই আমার এগিয়েছি। সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। সকলেই উৎসবের মেজাজে ভোটপ্রদানে অংশগ্রহণ করেছে।