এই স্কুলটি গড়ে উঠেছিল ১৯৭১ সালে। বর্তমানে শতাধিক পড়ুয়া রয়েছে এই বিদ্যালয়ে। সরকারিভাবে মিড-ডে মিলের ব্যবস্থাও রয়েছে। সরকারি স্কুল হলেও এখনও সরকারি সাহয্যের দিকে চাতক পাখির মত চেয়ে রয়েছেন এই স্কুলের শিক্ষকরা।
১৯৭১ সালে গঙ্গাসাগরের কমলপুর গ্রামে, কমলপুর জুনিয়র হাই স্কুল গড়ে উঠলেও প্রথমেই এই স্কুল সরকারি ভাবে অনুমোদন পায়নি। ১৯৯২ সালে এই স্কুল সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য হাইকোর্টে মামলা করে। পরে ২০০৪ সালে সরকারি ভাবে অনুমোদন পায় এই স্কুল।
advertisement
এই বিষয়টি স্থানীয় বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা সহানুভূতির সঙ্গে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন এবং তিনি নিজেও অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করেছে বলেও জানা গেছে।তবে দিনের পর দিন যদি এইভাবে শিক্ষকরা বেতন না পায়, তাহলে এখানে শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটাই থমকে যেতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অবিরাম দাস জানিয়েছেন, স্কুলটি এইরকম ভাবে চলছে।
স্কুলটির সরকারি অনুমোদন মিললেও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা মেলেনি। ফলে এই অবস্থায় চলছে। একাধিকবার সমস্ত জায়গায় জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছেনা। সরকার যদি বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে তাহলে খুব ভাল হয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
যদিও এ নিয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা জানান। এই বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করে জানতে পারি আগে একটি অর্ডারে লেখা ছিল স্কুলটির সরকারি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শিক্ষকদের কোনও টাকা দেওয়া হয়না। বিষয়টি নিয়ে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে।