আরও পড়ুন Durga Puja 2022: আহেলী-র পুজোর ভোজে মিলবে জেলার স্বাদ!
কলিখাতা প্রকাশনী প্রকাশিত বইটিতে পুরনো কলকাতার ৭টি অভিজাত বাড়ির পুজোর অজানা বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা হবে । বইয়ের নাম "বনেদি কলকাতার দুর্গোৎসব"। এই বইয়ের লেখক শুভদীপ রায়চৌধুরী নিজেও সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের একজন সদস্য। উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার সাতটি পুরনো দুর্গাপুজোর অজানা তথ্য তুলে ধরা হবে বইটিতে। শুভদীপ নিজে ছোটবেলা থেকেই পরিবারের পুজো দেখে বড় হয়েছেন। বাড়ির পুজোর ইতিহাস বাড়ির বড়দের মুখে ছোটবেলা থেকেই শুনেছেন তিনি। শুধুমাত্র সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের প্রাচীনতম পুজো আটচালা বাড়ির পুজোই নয়, পরবর্তী প্রজন্মে ভাগ হয়ে যাওয়া সাবর্ণ রায় চৌধুরী পরিবারের আরও সাতটি পুজোও শুভদীপ দেখেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন Durga Puja 2022: পেটের সঙ্গে ভরবে মন! ক্ষিদের সঙ্গে মিটবে তেষ্টাও, চলে আসুন দা আইরিশ ব্রুয়ারি
আটচালা, বড়োবাড়ি, মেজোবাড়ি, বেনাকি বাড়ি, কালীকিংকর ভবন ও মাঝেরবাড়ির পুজো হয় বড়িশা এলাকাতেই। পরিবারের পরিবারের আরও দুটি পুজো হয় বর্তমান উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিরাটি এবং নিমতা পাঠানপুর এলাকায়। একই পরিবারের পুজো হলেও অনেক পুজোর মধ্যেই নিয়ম-কানুনের বেশ কিছু তফাৎ রয়েছে। কোথাও আমিষ নিরামিষ ভোগের যেমন প্রকারভেদ রয়েছে তেমনি রয়েছে প্রতিমার গায়ের রঙেরও তফাৎ।
এই সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য ছাড়াও শহর কলকাতার আরও ছটি বনেদি পরিবারের পুজোর অজানা তথ্য তুলে ধরেছেন শুভদীপ তার বইয়ে। সাবর্ণ রায়চৌধুরী ছাড়াও তুলে ধরা হয়েছে শোভাবাজার রাজবাড়ি, বাগবাজারের হালদার পরিবার, হাটখোলার দত্ত পরিবার, সাদার্ন এভিনিউর ঘোষ রায় পরিবার, ভবানীপুর মিত্র পরিবার, কলুটোলার মতিলাল শীলের পরিবারের দুর্গাপুজোর খুঁটিনাটি। ইউনেসকোর তরফে স্বীকৃতি পাওয়ার বছরেই এইরকম একটি গবেষণানির্ভর বই পাঠকদের সমাদর পাবে, এমনটাই আশা লেখকের।