আরও পড়ুন : ‘হেরে নাটকবাজি BJP-র', 'আজ যা হল... গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জা’, বিধানসভায় ফেটে পড়লেন মমতা
কিভ ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া সুভাষ। সোমবার বিকেলে কলকাতা হয়ে মালদহ টাউন স্টেশনে পৌঁছয় পুরাতন মালদহের নারায়ণপুরের বাসিন্দা সুভাষ। আত্মীয়-স্বজন ও পরিজনেরা ঘরের ছেলেকে ফুল নিয়ে স্বাগত জানায় স্টেশনে। ইউক্রেনের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে সুভাষ জানান, ইউক্রেনে থাকার সময় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে তেমন সাহায্য মেলেনি। সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগে কয়েক গুণ বেশি খরচ করে রোমানিয়া সীমান্তে আসতে হয়েছে পড়ুয়াদের।
advertisement
রোমানিয়ায় পৌঁছনোর পর সে দেশের সরকার থাকা খাওয়ার প্রাথমিক ব্যবস্থা করেন। পরে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে বিশেষ বিমানে ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা হয়। ভারতে পৌঁছনোর পর রাজ্য সরকার বিমান খরচ দিয়ে কলকাতায় আনার ব্যবস্থা করে। গত কয়েক বছর পড়াশোনার সুবাদে ইউক্রেন বড়ই প্রিয় সুভাষের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাকি পড়াশোনার জন্য ইউক্রেনে (Russia Ukraine War) ফিরতে চায় সুভাষ। দেশে ফিরে এসেও ইউক্রেনে থাকা বন্ধুদের জন্য মনের মধ্যে রয়েছে একরাশ দুশ্চিন্তা। একইসঙ্গে দুশ্চিন্তা রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের আগ্রাসন নিয়েও।
এদিন বিকেল চারটে নাগাদ মালদা টাউন স্টেশনে পৌছয় কাজিরাঙা এক্সপ্রেস। ট্রেন থেকে নামতেই ফুল মালায় তাঁকে বরণ করে নেয় পরিজনেরা। আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন পরিবারের সকলে। সুভাষকে ঘিরে প্ল্যাটফর্মেই শুরু হয় কান্নার রোল।
ইউক্রেন ফেরত ছাত্রের কাকা অধীর বাড়ই বলেন, পরিবারের ছেলে যেভাবে কিভে আটকে পড়েছিল তাতে বরই দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়তে হয়েছিল। গত কয়েকদিনে টিভিতে ইউক্রেনের (Russia Ukraine War) যুদ্ধ পরিস্থিতির ছবি দেখে চোখের পাতা এক করতে পারেনি কেউ। অবশেষে ছেলে ফিরে আসায় পরিবারে স্বস্তি।