রোহিতের বাবা তারাচরণবাবু জানিয়েছেন, ইউক্রেনে তার ছেলে সাড়ে তিন বছর আগে কম্পিউটার সায়েন্স ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য গিয়েছিল। আচমকা রাশিয়ান হামলা শুরু হয়ে যাওয়ায় গোটা ইউক্রেন জুড়ে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। অন্যান্য দেশের লোকেরা সবাই নিজের নিজের দেশে ফিরে আসার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: ভোটের মুখে বর্ধমানে বিজেপি কার্যালয়ের সামনে বোমা! রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে
advertisement
তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তার ছেলে ও ছেলের সঙ্গীরা। এই মুহূর্তে পোলতভা থেকে রোহিত ও তার বন্ধুরা লিভে নামে একটি শহরে সরে এসেছে। এরপর সড়ক পথে তাদের প্রায় ৩০০কিলোমিটার দূরে হাঙ্গেরির সীমান্তে নিয়ে যাবে ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকরা। আর সেখান থেকেই প্লেনে ভারতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করবে ভারতীয় দূতাবাস বলে জানিয়েছে রোহিত।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর চিৎকার! বাইক-সহ আরোহীকে চাকায় পিষে টানল লরি! ধূপগুড়ির রাস্তা ভাসল রক্তে
রোহিতের বাবা তারাচরণ ভকত জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী সহ তাঁর পরিবার এই মুহূর্তে রীতিমত উদ্বেগে রয়েছেন। ছেলের সঙ্গে ঘন ঘন যোগাযোগ রাখছেন ফোনের মাধ্যমে। রোহিত তাদের বড় ছেলে। তাদের সারে তিন বছরের আরেকটি পুত্র সন্তান আছে। বর্ধমান শহরের সিএমএস ( বি সি রোড) স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনার জন্য রোহিত কে ইউক্রেনে পাঠানো হয় উচ্চ শিক্ষার জন্য। কিন্তু পড়াশোনার একদম শেষ পর্যায়ে এসে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় ক্যারিয়ারের কি হবে তা নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে সব আশঙ্কাকে ছাপিয়ে এখন ঘরের ছেলের ঘরে ফিরে আসার প্রহর গুনছেন মা, বাবা থেকে গোটা পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশীরা।
Saradindu Ghosh