এই গ্রামে বাস করে প্রায় ১০০টি ডোম জনজাতির পরিবার। যাদের জীবিকা দীর্ঘদিন ধরেই বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র তৈরির ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন সেই কাজেই টান পড়েছে, টান পড়েছে সংসারের চালাতে। আর এই জীবনসংগ্রাম যেন প্রতিদিনই আরও কঠিন হয়ে উঠছে তাদের কাছে। দুধিয়ানালার বাসিন্দারা পেট ভরানোর জন্য একমাত্র ভরসা, বাঁশের তৈরি কিছু পণ্য — ঝুড়ি, চালুনি, ঝাঁটা বা কুলো। সেগুলোরও বাজার দর আর নেই আগের মতো নেই। প্লাস্টিক আর সস্তা শিল্পজাত পণ্যে ভরে গিয়েছে বাজার। হাতে গোনা কিছু জিনিস বিক্রি হলেও দাম মাত্র ২০ থেকে ৩০ টাকা। এত অল্প দামে তৈরি পণ্যে শ্রমের দাম ওঠে না, সংসার চালানো দূরের কথা।
advertisement
ডোম সম্প্রদায়ের মানুষদের অনেকেই জানান, আগে জমিতে দিনমজুরির কাজ করে কিছুটা সাপোর্ট পাওয়া যেত। কিন্তু এখন সেই সুযোগও নেই। কারণ, কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক যন্ত্রপাতি ঢুকে পড়েছে। চাষ থেকে ফসল তোলা — সব কিছুই এখন যন্ত্রনির্ভর। ফলে হাতে কাজ নেই, পেটে অন্ন নেই। গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা নরেন কালন্দী জানালেন, “বাঁশ কেটে ঝুড়ি বানাই, চালুনি বানাই, সকাল থেকে রাত অবধি খেটে খেটে ২০-২৫ টাকার জিনিস বিক্রি হয়। এতেই সংসার চলে কেমন করে। আগের মতচাহিদা নেই আর। সব বাজারেই এখন প্লাস্টিকের জিনিস।” তাঁদের মতে, এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় — সরকারি সহযোগিতা।
ইঞ্জিন সারানো হয়েছিল সদ্য! ত্রুটি প্লেনের নয়…১৯ জন মৃত যাত্রীর DNA টেস্টের পর বড় তথ্য ফাঁস!
বিকল্প আয়ের পথ, প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা পেলে কিন্তু এই পেশা তারা ছেড়ে দিতে চান না। বরং আধুনিক রূপে পুরানো শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে চান তারা। ডোম জনজাতির এই পরিবারগুলোর দাবি, সরকার ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে তারা আবারও মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারবে।