জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর বন বিভাগের অন্তর্গত চাকুলিয়া রেঞ্জের জঙ্গলে স্থানীয় মানুষজন বাঘ রয়েছে বলে দাবি করে। তারপর, চাকুলিয়া রেঞ্জের জঙ্গল এলাকায় কড়া নজরদারি শুরু করে জামশেদপুর বন বিভাগ। ইতিমধ্যেই জঙ্গল এলাকায় গবাদি পশু নিয়ে যাওয়াই গ্রামবাসীদের সতর্ক করেছে বন দফতরের। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওড়িশার সিমলিপাল থেকে গুরবান্দায় হয়ে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের চাকুলিয়া রেঞ্জের জঙ্গলে পৌঁছয় একটি বাঘ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দার্জিলিং-সান্দাকফু মুড়বে বরফের চাদরে! সপ্তাহান্তে ব্যাপক বদলাবে আবহাওয়া, পর্যটকদের জন্য বিরাট সুখবর
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ঝাড়গ্রাম জেলার মেদিনীপুর বন বিভাগের অন্তর্গত লালগড়ের জঙ্গলে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের হদিশ মিলেছিল। প্রথমে সকলে বিশ্বাস না করলেও ট্রাপ ক্যামেরায় বাঘের ছবি ধরা পড়তে সকলে আশ্চর্য হয়ে যায়। তখনও জানা গিয়েছিল উড়িষ্যার সিমলিপাল থেকে বাঘটি ঝাড়খণ্ড হয়ে চলে এসেছিল লালগড়ের জঙ্গলে।
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝাড়খণ্ডের একটি বাঘ রয়েছে এই দাবি করে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। কোনও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার কোনও ভিডিওতে আবার সিংহ। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, যে সমস্ত ভিডিওগুলি ভাইরাল হচ্ছে সেইগুলি ভুয়ো। বাঘের আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য এমন কাজ করা হচ্ছে। বাঘের আতঙ্ক পার্শ্ববর্তী রাজ্যে চাউর হতেই বিষয়টিকে হালকাভাবে নিতে নারাজ ঝাড়গ্রাম বনবিভাগ।
ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম বলেন, “ঝাড়খণ্ড এবং বাংলার মধ্যে হাতি যাতায়াত করে। ফলে ঝাড়খণ্ড বন বিভাগের সঙ্গে আমাদের ভাল যোগাযোগ রয়েছে। বাঘের বিষয়টি সামনে আসার পর আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টিকে দেখছি। জামবনি, গিধনী ও বেলপাহাড়ি রেঞ্জের ঝাড়খন্ড সীমানাগুলিতে আমাদের কড়া নজরদারি রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই”।
বুদ্ধদেব বেরা