আরও পড়ুন: নদী পারাপার করতে গিয়ে হড়পা বানে মৃত্যু! বন্ধ পঠন-পাঠনও, দেখুন
সুন্দরবনের চিত্র যে বড়ই বৈচিত্র তা বলাই বাহুল্য। শুধুমাত্র বারেবারে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুন্দরবনের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তা নয় আছে বন্যপ্রাণীর আতঙ্কও। সেই সুন্দরবন এলাকার জঙ্গলজীবি মানুষের প্রধান জীবীকা জঙ্গলের মাছ, কাঁকড়া ধরা। আর এমনভাবে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে মাছ কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বন্যপ্রাণীর, বিশেষ করে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখে পড়তে হয়। আবার রাতের অন্ধকারে কখনও বা বেড়াজাল টপকিয়ে লোকালয়ে ঢুকে যেতে পারে। সবসময়ই এক প্রকার চাপা আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট মহাকুমার সুন্দরবনের কালিতলা-সামসের নগর এলাকার মানুষ। সুন্দরবনে মাছ, কাঁকড়া ধরতে জলাজঙ্গলের খাড়িতে গিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে অনেকেই বাঘের মুখে পড়েছেন, কেউবা প্রাকৃতিক বিপর্যায়ের সম্মুখীন হয়েছেন।
advertisement
বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের কালিতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২নং সামশেরনগর গ্রামের পাশেই সুন্দরবনের কুঁকড়েখালি নদী পেরিয়ে কুুঁকড়েখালি জঙ্গল যা একেবারে জঙ্গলের পাশেই। সেখানেই বসবাস কয়েক’শ পরিবারের। দিনরাত একপ্রকার চাপা আতঙ্কে দিন কাটান এলাকাবাসী। তবে লোকালয়ে ঢুকে পড়া আটকাতে সুন্দরবন অঞ্চলে এলাকাজুড়ে বেড়া দেওয়া রয়েছে। বনকর্মীদের ক্যাম্প দিনরাত সেই বেড়াগুলোতে নজরদারি চালাচ্ছে, এছাড়াও জলপথে চালানো হয় নজরদারি৷ তবুও আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়েনা জঙ্গলের ধারে বসবাসকারী প্রান্তিক মানুষের।
জুলফিকার মোল্যা