উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদর শহর বারাসাতের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিধানপার্ক এলাকায় অবশ্য জলমগ্ন হয়ে পড়ার এই সমস্যা দীর্ঘদিনের বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয় এলাকাবাসীরা। বছরের পর বছর ধরে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে এই ওয়ার্ড। তবে এবার যেন অতিরিক্ত বৃষ্টিতে জলের তলায় চলে গিয়েছে এলাকার রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে, জল ঢুকেছে স্থানীয় বাড়িগুলিতেও। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বারাসাত পৌরসভার একাধিক এলাকায়। এলাকাবাসীদের অভিযোগ প্রায় কুড়ি বছর ধরে এমন পরিস্থিতি দেখে আসছেন তারা। রাস্তা না পুকুর তা যেন বুঝে ওঠার উপায় নেই। বছরের পর বছর এমন পরিস্থিতিতে কাটালেও বদল ঘটেনি অবস্থার।
advertisement
আরও পড়ুন: প্যারিস অলিম্পিক্সে নৈহাটির ঐহিকা, তবু আক্ষেপের সুর বাবার গলায়!
বারাসাত পুরসভার ৩২ এবং ৩৫ নম্বর দু’টি ওয়ার্ডই জলমগ্ন। স্থানীয়রা অনেকেই জানাচ্ছেন, নিকাশি নালার সমস্যা ও রাস্তাঘাট অনেকটাই নিচু থাকায় প্রতি বছর অল্প বৃষ্টিতে জমে জল। তবে এবার এই সমস্ত এলাকায় জমেছে হাঁটু জল। জল ঢুকেছে এলাকার বাড়িগুলিতেও। এই জল ঠেঙিয়েই এখন ছাত্র-ছাত্রী থেকে অফিসযাত্রী এবং স্থানীয় এলাকার মানুষদের যাতায়াত করতে হচ্ছে গন্তব্যে। যদিও এলাকার কাউন্সিলর অরূপ পাইন অবশ্য আশ্বাস দিচ্ছেন রাস্তা ও নিকাশি ব্যবস্থার সমস্যার সমাধান করবেন দ্রুত। বারাসাত পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্রোহী ক্লাবের খেলার মাঠ যেন পুকুরের আকার নিয়েছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে মাছ।
আরও পড়ুন: ইউটিউব ছাড়া আমাদের একদিনও চলে না, জানেন কি ইউটিউব তৈরি করেছিলেন এক বাঙালি?
যদিও এই ব্যাপক বৃষ্টির কারণে গোটা জেলাই প্রায় জলমগ্ন। কলকাতা বিমানবন্দরের পার্কিংয়ের জায়গায় জমেছে জল। তবে বিমানবন্দরের রানওয়েতে কোন জল নেই বলেই জানা গিয়েছে। হলদিরাম, এয়ারপোর্ট, বাগুইহাটি যাওয়ার ভিআইপি রোডও জলমগ্ন। হাটু সমান জল রয়েছে ভিআইপি রোডের উপর। ভারী বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন বিধাননগর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকাও। জলমগ্ন সেক্টর ফাইভ, সল্টলেক। এখন কতক্ষণে এই জল নামে সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন সাধারণ মানুষ। যদিও গোটা জেলায় প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গেই পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।