প্রসঙ্গত, দিনের পর দিন রাজ্যজুড়ে বেড়েই চলেছে পথ দুর্ঘটনার পরিমাণ। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঘটছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আহত হচ্ছেন অনেকে। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি— র্যালি, হেলমেট বিতরণ, পথনাটিকা, লিফলেট বিলি, ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলার আবেদন। তবুও বাস্তব পরিস্থিতি যেন বদলাচ্ছে না। এক শ্রেণীর মানুষ এখনও পর্যন্ত ট্রাফিক নিয়মকে তোয়াক্কা করছেন না। হেলমেট ছাড়াই বাইক চালান, দ্রুতগতিতে বাইক অথবা গাড়ি চালান, মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালান, সিগনাল ভেঙে রাস্তা পার হওয়া, এমনকি জাতীয় সড়কে ব্যাটারি চালিত টোটো রিকশা চালান— এইসব নিয়মভঙ্গের চিত্র প্রতিদিনই চোখে পড়ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ফুল তোলা নিয়ে এত বড় ঘটনা…! অকালে প্রাণ বিসর্জন, বন্ধ আইসিডিএস পরিষেবা, আরও কতকী
নদিয়ার ট্রাফিক পুলিশের এক আধিকারিক জানান, “আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি মানুষকে সচেতন করতে। প্রচার অভিযান চলছে স্কুল, কলেজ ও বাজার এলাকায়। কিন্তু যতক্ষণ না মানুষ নিজে থেকে সচেতন হবেন, ততদিন দুর্ঘটনা কমবে না।” স্বাস্থ্য দফতরে পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষ পথ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন, যার মধ্যে এক বড় অংশের কারণ হেলমেট বা সিট বেল্ট না পরা এবং অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সচেতন নাগরিক মহলের মতে, প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও নিজের ও অন্যের নিরাপত্তার কথা ভেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। “এটা শুধু ট্রাফিক পুলিশের কাজ নয়। প্রত্যেক চালক এবং পথচারীর উচিত নিয়ম মেনে চলা। না হলে মৃত্যু ও আঘাতের এই মিছিল থামবে না,” বলছেন নাগরিক কর্মী সায়ন্তন চট্টোপাধ্যায়।
সামনে উৎসবের মরশুম। আরও ভিড়, আরও যান চলাচল বাড়বে রাস্তায়। তাই এখনই প্রয়োজন আরও কঠোর পদক্ষেপ এবং মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন। না হলে এই দুর্ঘটনার সংখ্যা আরও বাড়বে, আর কষ্ট পাবে আমজনতাই।
Mainak Debnath