দুর্ঘটনা রুখতে জেলা জুড়ে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ফিটনেস খতিয়ে দেখার পাশাপাশি বাসের ছাদে যাত্রী ওঠা বন্ধ করতে সিঁড়ি খুলে ফেলা হচ্ছে। বর্ধমান, কাটোয়া কালনার পর সেই উদ্যোগ শুরু হল মেমারিতে।
মেমারি বাসস্ট্যান্ড থেকে বিভিন্ন রুটের বাস যাতায়াত করে। তিনদিন ধরে ওই সমস্ত বাসের ছাদে ওঠার সিঁড়ি খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে মেমারি- মন্তেশ্বর বাস ইউনিয়ন।
advertisement
আরও পড়ুন- নিয়োগের দাবিতে পথনাটিকা,অভিনব উপায় প্রতিবাদ উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের
আরও পড়ুন- ভারতের এক নম্বর ব্যাটসম্যান নিজের বন্ধুর সঙ্গেই দিয়ে দিলেন বোনের বিয়ে!
কাটোয়ার ন’নগরে যাত্রীবোঝাই বাস উল্টে মৃত্যু হয়েছিল দু'জনের। ঘটনায় ৪০ জন আহত হন। কেতুগ্রাম থেকে কাটোয়াগামী ওই বাসে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ওই বাসের ছাদেও যাত্রী তোলা হয়। সেই দুর্ঘটনার পর পরই দুর্ঘটনা রুখতে জেলাজুড়েই তৎপরতা বাড়িয়েছে পুলিশ। ওই দুর্ঘটনার পর দিনই মেমারি-মন্তেশ্বর বাস ইউনিয়ন ও পুলিস-প্রশাসনের মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়,কোনওভাবেই বাসের ছাদে যাত্রী তোলা যাবে না। সমস্ত বাসের ছাদের রেলিং ও ছাদে ওঠার সিঁড়ি খুলে দেওয়া হবে।
মেমারি বাসস্ট্যান্ড থেকে জেলার প্রায় সব প্রান্তেই বাস যায়। বাস কর্মীরা বলছেন,বঅল্পবয়সি ছেলেদের বাসের ছাদে ওঠার প্রবণতা বেশি দেখা যায় । অনেক সময় ভিড়ের কারণেও অনেকে ছাদে ওঠেন। অনেকে মালপত্র নিয়ে ছাদে উঠতে চান।
যাত্রীরা বলছেন, নিয়ম মেনে বাস চলাচলের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখুক জেলা পুলিশ প্রশাসন। এর আগেও বাসের ছাদে সিঁড়ি কাটা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের নজরদারি কমে গেলে আবার ছাদে যাত্রী তোলা শুরু হয়ে যায়। এই প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে বাসের ভেতরেও যাতে অতিরিক্ত যাত্রী তোলা না হয় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।