প্রত্যেকদিন যে সকল নিত্যযাত্রী যশপুর থেকে হেতমপুর বা হেতমপুর থেকে যশপুর হয়ে শহরমুখী যাতায়াত করেন, তাঁদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রীরা। বাধ্য হয়ে ঘুরপথে প্রায় অতিরিক্ত ১০-১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ হাজারও মানুষের ভিড়! কী হচ্ছে কালনায়? কারণ জানলে আপনিও যেতে চাইবেন!
advertisement
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরাও। ভেঙে যাওয়া বাঁধের জল উপচে পড়ায় ২০-২৫টি ধানের জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় কৃষক শেখ মইন উদ্দিন জানান, “বৃষ্টি কিছুটা কমেছে ঠিকই, কিন্তু জলের যন্ত্রণা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। কালভার্ট ও রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় চাষেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ভুক্তভোগীদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব পুনর্গঠনের কাজ শুরু হোক। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পৌঁছেছেন দুবরাজপুর ব্লকের বিডিও ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাঁরা গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, দ্রুত মেরামতির উদ্যোগ নেওয়া হবে। যশপুর-হেতমপুর রাস্তাটি দুবরাজপুর মহকুমার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগপথ। এই পথের মাধ্যমে বহু মানুষ প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও বাজারমুখী হন। তাই এই রাস্তা ভাঙনের ফলে যেন থমকে গিয়েছে গোটা অঞ্চলের স্বাভাবিক জীবন।