দুর্ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আহত পর্যটকদের। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত হেঁড়িয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা কলকাতাগামী গাড়ির চালক বুবাই দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, দিঘাগামী গাড়িতে থাকা দুই পর্যটক সামান্য আহত হলেও বড় ধরনের বিপদ এড়াতে সক্ষম হন।
আরও পড়ুন: খয়রাশোল থানার মহতী উদ্যোগ! বিনামূল্যে খুদেদের শেখাচ্ছে ক্যারাটে, খুশি এলাকার বাসিন্দারা
advertisement
জানা গিয়েছে, ওই গাড়িতে এয়ার ব্যাগ থাকায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তারা। দিঘাগামী গাড়ির চালক-সহ যাত্রীরা আপাতত প্রাথমিক চিকিৎসার পর স্থিতিশীল আছেন। দিঘার দিকে আসা গাড়ির চালক বলেন, “আমরা খুব ধীরে গাড়ি চালাচ্ছিলাম। হঠাৎই উল্টো দিক থেকে আসা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাদের ধাক্কা মারে। আমরা হতবাক হয়ে যাই। আমাদের গাড়িতে এয়ার ব্যাগ না থাকলে হয়ত আজ আমরা কেউ বাঁচতাম না। দ্রুত গতির কারণেই ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। সংঘর্ষের পর দুই গাড়িই প্রায় শেষ হয়ে গেছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই ভয়াবহ সংঘর্ষে শুধু দুটি গাড়ি নয়, পিছনে থাকা একটি টোটোও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সংঘর্ষের ধাক্কায় টোটোটিও দুমড়ে-মুচড়ে যায়, আহত হন টোটোর চালক। দুর্ঘটনার পর রাস্তায় থমকে যায় যান চলাচল। অবরুদ্ধ হয় দিঘা-নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়ক। পরে খেজুরি থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। ভাঙা গাড়িগুলি রাস্তা থেকে সরিয়ে যান চলাচল চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। ছুটি কাটানোর আনন্দ মুহূর্তে মিশে গেল অন্ধকারে, দিঘা থেকে ফেরার পথে দ্রুতগতি কেড়ে নিল এক যুবকের প্রাণ।






