এলাকায় একের পর এক দুর্ঘটনায় মৃত্যু মিছিল ঠেকাতে অবিলম্বে স্পিড ব্রেকার তৈরী ও যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থার দাবিতে খড়বন মোড়ে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকাবাসী। অবরোধের জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় ওই রাস্তায় যান চলাচল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনায় দেহের পাহাড়! আহতদের প্রাণ বাঁচাতে রক্তের জন্য হাহাকার
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের দুবরাজপুর গ্রামের বছর সত্তরের বাসিন্দা শম্ভু বারিক মঙ্গলবার ভোরে নিজের নাতনিকে বাসে চাপানোর জন্য সাইকেলে করে খড়বন মোড়ে আসেন। নাতনিকে বাসে চাপানোর পর খড়বন মোড় থেকে সাইকেলে চড়ে দুবরাজপুর গ্রামের দিকে ফিরছিলেন ওই বৃদ্ধ। স্থানীয়দের দাবি ভোরের দিকে আচমকাই একটি গাড়ি এসে ধাক্কা মারে শম্ভু বারিককে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নাগেরবাজারে আলমারির মধ্যে মানুষের হাত! নাড়াচাড়া করতেই যা বেরোল… চক্ষু চড়কগাছ সকলের
ভোরে রাস্তাঘাট একেবারে ফাঁকা থাকার সুযোগে ঘাতক গাড়িটি অবাধে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা শম্ভূ বারিককে রাস্তার উপর রক্তাক্ত ও মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বেপরোয়া যান চলাচল ও একের পর এক দুর্ঘটনায় ওই এলাকায় মৃত্যু মিছিল ঠেকাতে খড়বন এলাকায় একাধিক স্পিড ব্রেকার তৈরী ও মৃতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে সকাল ৭টা থেকে বাঁকুড়া খাতড়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকাবাসীরা। খাতড়া থানার পুলিশ অবরোধস্থলে পৌঁছে বুঝিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। স্পিড ব্রেকার তৈরী ও মৃতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যেতে অনড় স্থানীয়েরা।