মঙ্গলবারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় সামশেরগঞ্জের দেবীদাসপুর ও ঘনশ্যামপুর গ্রামে। দীর্ঘ চার বছর ধরে গঙ্গা ভাঙনে বিপর্যস্ত সামশেরগঞ্জের গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার মানুষেরা।
বছরের পর বছর গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে কয়েকশো বাড়ি, বিঘার পর বিঘা জমি, স্কুল, মন্দির। ভিটে মাটি হারিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এইবছর বর্ষা আসার আগেই শুরু হয়েছে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের কাজ।
advertisement
আরও পড়ুন- ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই বাজারে আসবে মেড ইন ইন্ডিয়া চিপ’, জানালেন অশ্বিনী বৈষ্ণব
সামশেরগঞ্জের দেবীদাসপুর ও ঘনশ্যামপুর গ্রামে বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে গঙ্গার পাড়ে। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রতি বস্তায় ৫২কেজি বালি থাকা উচিত। কিন্তু তার বদলে ১৮ থেকে ২২ কেজি ওজনের বালির বস্তা নিয়ে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করা হচ্ছে।
এরই প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়ে গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীরা বাধা দিলে কন্ট্রাকটর হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। সকলের দাবি নির্দিষ্ট সিডিউল মেনে গঙ্গা ভাঙনের কাজ করা হোক। নাহলে নৌকা আটকে বিক্ষোভ চলতে থাকবে।
গ্রামবাসী দিলদার আলি বলেন, গঙ্গা ভাঙন আমাদের কাছে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তার পরেও প্রশাসন নির্বিকার। বালির বস্তা দিয়ে গঙ্গা ভাঙ্গন প্রতিরোধের কাজ হলেও বস্তায় কম পরিমানে বালি থাকছে। আমরা এটা হতে দেব না। আমরা চাই নির্দিষ্ট সিডিউল মেনে কাজ হোক।
আরও পড়ুন- ১৬ মার্চ পার, বন্ধ Paytm পেমেন্টস ব্যাঙ্কের ফ্যাস্ট্যাগ রিচার্জ,নতুন ব্যবস্থা কী
পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ আবুল হোসেন বলেন, এর আগেও আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। কিন্তু তার পরেও কম পরিমাণে বালির বস্তা আনা হয়েছে। অভিযোগ জানালে কন্ট্রাকটর আমাদের হুমকি দিচ্ছে। সেই কারণে আমরা নৌকা আটকে রেখেছি।