সমগ্র চূর্ণী নদী বর্তমানে কালো জলে ভরে রয়েছে। জল থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। প্রতিদিন এই নদীতে বহু মানুষ স্নান করেন। এর ফলে তাঁদের মধ্যে চর্মরোগ, পেটের অসুখ ছড়াচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। চূর্ণী নদীতে মাছ ধরে বহু মৎস্যজীবীরা জীবিকা নির্বাহ করতেন। বর্তমানে নদীর জল দূষিত হওয়ার ফলে মাছ প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে তাঁদের জীবিকা সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি রোধের মাধ্যমে জেলায় কর্মসংস্থান! অভিনব ঘটনা এখানে
কেন চূর্ণী নদীর জল এই পরিমাণে দূষিত হয়ে উঠেছে তার সন্ধান পাওয়া গেল এবার। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, চূর্ণী নদীর উৎস বাংলাদেশের মাথাভাঙা নদীতে বছরে চারবার বাংলাদেশের কেরো কোম্পানির বর্জ্য পদার্থ ফেলা হয়। তা মাথাভাঙা নদীর স্রোতের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে চূর্ণীতে এসে মেশে। এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে অজস্র কচুরিপানা ভেসে চলে আসছে চূর্ণী নদীতে। ফলে সূর্যের আলো সরাসরি নদীতে প্রবেশ করতে পারছে না। তার ফলে নদীর জলের ভেতরে থাকা জীবজগৎ ক্লোরোফিল উৎপন্ন করতে পারছে না। সেখানে অক্সিজেনের ব্যাপক অভাব ঘটছে। আর সেই কারণেই নদীর জল দূষিত হয়ে উঠছে এবং মাছের দেখা প্রায় পাওয়া যাচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে চূর্ণী নদী দূষিত হওয়ার মূল কারণের বিষয়টি যেহেতু প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ঘটছে, তাই সহজে এর সমাধান মিলবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে ভুগছেন স্থানীয়রা। তাঁরা চাইছেন, দ্রুত চূর্ণী নদীকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।
মৈনাক দেবনাথ