আরও পড়ুন- অনুব্রতহীন বীরভূম! দখল নিতে মরিয়া গেরুয়া শিবির
এখন কত পরিমাণ জমি ধান রোয়ার বাইরে থেকে গেল, তা জানতে ব্লকগুলির কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হবে। সেইসব জমিতে কৃষকদের ডাল ও তৈলবীজ চাষের পরামর্শ দেবে কৃষি দপ্তর।
গত বছর জুলাই মাসে ৩০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলায়। সেই জায়গায় এবার জুলাই মাসের বৃষ্টি মিলেছে মাত্র ১০৩.৫ মিটার। জুলাইয়ের ঘাটতি অগাস্টে অনেকটাই মিটিয়ে দেবে বলে আশা করেছিলেন কৃষকরা। কিন্তু তাদের সেই আশা পূর্ণ হয়নি।
advertisement
এখনও পর্যন্ত এই জেলায় ১৩৫ দশমিক পাঁচ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, দু এক জায়গায় ভারী বর্ষণ হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে জল দাঁড়াচ্ছে না। অথচ এখন জমিতে দাঁড়িয়ে থাকার মতো জল প্রয়োজন।
সাধারণত ১৫ অগাস্টের মধ্যে জেলায় আমন ধান রোয়ার কাজ শেষ করে ফেলার কথা। এর পরে ধান রোয়া হলে ফলন ভালো হয় না বলেই অভিজ্ঞ কৃষকরা জানিয়েছেন। তা ছাড়া দামোদর তীরবর্তী এলাকা কালনা মহকুমার একটা বড় অংশে উন্নতমানের আলু চাষ হয়। ধান চাষে দেরি হলে আলু চাষ পিছিয়ে পড়ার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়।
আরও পড়ুন- বন্দি দশা থেকে মুক্তির আকুতি, মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধানাগার থেকে মুক্ত ১০ বন্দি
জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রেজানা গিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৩ লক্ষ আশি হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়। সেখানে এখনও পর্যন্ত তিন লক্ষ ৩২ হাজার ৩৩৩ সেক্টর জমিতে ধান রোয়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সব মিলিয়ে সাড়ে তিন লক্ষ হেক্টর জমিতে ধান রোয়া হবে বলে আশাবাদী কৃষি দপ্তর। তবে বৃষ্টির যে একটা ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে তা মানছেন আধিকারিকরা।
