নন্দকুমার: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে নন্দকুমারে RG পার্টি গঠন। নন্দকুমার এলাকায় চুরি, ছিনতাই, অপরাধমুলক কাজ বন্ধ করতে পুলিশ এবং সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পাশাপাশি RG পার্টি বা গ্রাম রক্ষী বাহিনীকে কাজে লাগাচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। RG ভলেন্টিয়ারদের হাতে রাতের অন্ধকারে নিরাপত্তা ডিউটির জন্য পুলিশের তরফে পরিচয়পত্র সহ আনুসঙ্গিক জিনিসপত্রও তুলে দেওয়া হয়েছে।
advertisement
এলাকায় এলাকায় চুরি, ছিনতাই সহ নানা ধরনের দুষ্কর্ম এবং দুষ্কৃতী তাণ্ডব বেড়েই চলেছে। সে সবের মোকাবিলায় পুলিশ এবং সিভিক ছাড়াও নিজের নিজের এলাকায় কমিটি গঠন করে RG পার্টি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই নির্দেশ মেনেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে প্রথম নন্দকুমার থানা এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে এই RG পার্টি। নন্দকুমারের কুমারপুর, ঠেকুয়া, ব্যবত্তারহাট, কড়ক সহ মোট ৩০ টি দোকান বাজার ও গ্রাম কমিটি মিলে প্রায় দুশোর বেশি RG ভলেনটিয়ারকে জেলা পুলিশ সুপার নিজেই তুলে দিয়েছেন টুপি, পরিচয় পত্র, বাঁশি, লাঠি ও বড় টর্চলাইট।
অপরাধ দমনে পুলিশের অভিনব পদক্ষেপ হিসেবে নন্দকুমার থানায় চালু হল ‘আরজি পার্টি’ বা গ্রাম রক্ষী বাহিনী। যা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রথম উদ্যোগ।
কী এই আরজি পার্টি?
এটি এক ধরনের জনসংযোগমূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, যেখানে পুলিশ ও সাধারণ মানুষ যৌথভাবে অপরাধ প্রতিরোধে কাজ করবেন। থানার তত্ত্বাবধানে প্রতিটি বাজার, গ্রাম ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় গঠিত হচ্ছে কমিটি। প্রতিটি কমিটিতে থাকছেন—
এলাকার সাধারণ নাগরিক, তারা প্রত্যেকদিন চারজন পালা করে।
বাজার বা যে-যার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় টহল দেবে (ব্যবসায়ী বা স্বেচ্ছাসেবী)।
তাতে থাকছে একজন পুলিশ কর্মী এবং একজন সিভিক ভলান্টিয়ার।
এঁরা শিফট ভিত্তিতে লাঠি, টর্চ ও হুইসেল হাতে টহল দেবেন। প্রতিটি বাজারে যদি ১০০ জন ব্যবসায়ী থাকেন, তাঁরা পালা করে প্রতিদিন চারজন করে ডিউটি করবেন। ফলে এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারি বজায় থাকবে।