আরও পড়ুন: ‘হাসিনাকে ফেরত না দিলে…’, ভারতকে ফের হুঁশিয়ারি বাংলাদেশ সরকারের! জানিয়ে দিল পরিণতির কথাও
বলা হয় পরাধীন ভারতের বিপ্লবতীর্থ ছিল চন্দননগর। সশস্ত্র আন্দোলন কারীদের বিপ্লবের আখড়া ছিল তৎকালীন ফরাসডাঙ্গা। ছাত্র জীবনে রাসবিহারী বসু পড়াশোনা করেছিলেন চন্দননগর ডুপ্লে কলেজে। এখানে থেকেই তিনি ভারতের সশস্ত্র সৈন্য বাহিনী তৈরির কাজ শুরু করেন তিনি। চন্দননগর থেকেই তিনি আজাদ হিন্দ বাহিনী তৈরির জন্য পারি দিয়েছিলেন সিঙ্গাপুর। সেখান থেকে জাপান। পরবর্তীতে আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্ব তিনি তুলে দেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর হাতে।
advertisement
জীবনের একটা বড় সময় তিনি কাটিয়ে গিয়েছেন চন্দননগরে। তার বিপ্লবী সঙ্গী কানাইলাল দত্ত তার নামাঙ্কিত স্কুলেই এবার বসেছে বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর আবক্ষ মূর্তি। এই স্কুলের ১৯৯৪ সালের প্রাক্তনীদের উদ্যোগে শুরু হয়েছে হয়েছে এই কাজ। এই বসিয়ে স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক প্রবীর কুমার বাবু বলেন, ছোট থেকেই সকল ছাত্রদের পরাধীন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের গল্প শোনাতেন তারা। স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ রাখার জন্য নিয়মিত দের বিভিন্ন চর্চা করা হতো। যার ফল স্বরূপ এখনও বিদ্যালয়এর ৩০ বছরের পুরাতন ব্যাচের ছাত্ররা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অনুসরণ করবার জন্য অগ্রণী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: ঘুরে দাঁড়ালেও ভারতের ধারেকাছেও নেই পাকিস্তান! জানেন ভারতের ১ টাকা মানে পাকিস্তানের কত?
এই বিষয়ে প্রবীর কুমার বসু আরও বলেন, “রাসবিহারী বসু নিজে এই স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন ক্লাস ৭ পর্যন্ত। যদিও সেই সময় স্কুলের নাম কানাইলাল বিদ্যামন্দির ছিল ছিল না। সেই সময় তার ছিল ডুপ্লে কলেজের অংশ। এখান থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি একাধিক বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন তিনি। আজ তার মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে তার আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হল স্কুলে।





