জামিনপ্রাপ্ত তিনজনের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার তালগ্রাম। প্রধান অভিযুক্ত স্বামী শের মহম্মদ জামিন পায়নি। সরকারি চাকরি পাওয়া স্ত্রী রেণু খাতুনকে চাকরিতে যোগ দিতে না দেওয়ার পরিকল্পনা করে ৪ জুন গভীর রাতে কোজলসা গ্রামে নিজের বাড়িতে স্বামী শের মহম্মদ তুতো ভাইয়ের সাহায্যে ভাড়াটে দুই দুষ্কৃতীকে ডেকে রেণুর ডান হাতের কব্জি কেটে নিয়েছিল। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে আলোড়ন উঠেছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: 'চাকরিতে আপত্তি নয়, পরকীয়ার জন্য রেণুর হাত কেটেছি', ভোল বদল শের মহম্মদের
নার্সের চাকরির প্যানেল লিস্টে রেণু খাতুনের নাম থাকায় মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রেণুর নিয়োগপত্র জেলা স্বাস্থ্যকর্তা প্রণব রায় দুর্গাপুরের বেসরকারি নার্সিংহোমে গিয়ে তার হাতে তুলে দেয়। পরে রেণু সুস্থ হয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কার্যালয়ে চাকরিতে যোগ দেন।
রেণু খাতুন এখন পূর্ব বর্ধমান জেলার কুরমুন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাকরি করছেন। স্ত্রী সরকারি চাকরি পেলে আর স্বামী শের মহম্মদকে দেখবে না এই আতঙ্কে রেণুকে শিক্ষা দিতে নজিরবিহীন কাণ্ড ঘটিয়েছিল শের মহম্মদ। যদিও ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় শের মহম্মদ স্ত্রীর কব্জি কাটার ঘটনায় আফসোস করে বলেন, ''অনুশোচনা হচ্ছে, তবে রেণু বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল বলেই তার উপর এই আক্রমণ করেছিলাম।''
আরও পড়ুন: ফের নতুন জায়গায় কাজে যোগ দিলেন রেনু খাতুন, একদিনেই আবারও বদলি
রেণু তাঁর স্বামীর কথাকে আমল না দিয়েই বলেন, ''ও এখন নিজেকে বাঁচবার জন্যই এইসব মনগড়া কথা বলছে।'' আইনজীবী ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পুলিশের পেশ করা মামলার নথিতে একাধিক তথ্যে অসঙ্গতি পেয়ে বিচারক আজ জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। ৪০ হাজার টাকার বন্ডে কেতুগ্রাম থানার তদন্তকারী আধিকারিকের ডাকে হাজির হতে হবে এই শর্তে অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক তিনজনকে জামিন দিয়েছেন।