৪ জুন দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি হন রেণু। সরকারি চাকরি পাওয়ায় ডান হাত কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। চিকিৎসকরা রেণুর হাতে অস্ত্রোপচার করেন, রাতেই তাঁর ডান হাতের কব্জি কাটা যায়।
কেতুগ্রামের কোজলসার ওই ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল গোটা রাজ্য। হাসপাতালের বেড-এ শুয়েই রেণু জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান। মুখ্যমন্ত্রীও পরে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন, চাকরি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। সেই মতোই প্রথমে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য দফতরে, তার পর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাকরি পেলেন নির্যাতিতা রেণু খাতুন।
advertisement
বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাঁকে দুর্গাপুরের নার্সিংহোমের নিয়োগ পত্র তুলে দেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ২১ জুন বর্ধমানের সিএমওএইচ অফিসে কাজে যোগদান করেন রেনু।
বৃহস্পতিবার তাঁকে সিএমওএইচ দফতর থেকে বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের কুড়মুন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বদলি করা হয়।
পোস্টিং পাওয়ার পর রেণু জানান, তাঁর কাজ মানবসেবা, সেই কাজ যেন তিনি করে যেতে পারেন।
Saradindu Ghosh