কিন্তু আজ সেই ইছামতী নদী হারিয়েছে তার নাব্যতা। উৎসমুখ প্রায় সম্পূর্ণ মজে গিয়েছে। ফলে প্রবাহ বন্ধের উপক্রম। এক সময় যেখানে নৌযান চলত, আজ সেখানে জন্মেছে কচুরিপানার জঙ্গল। খালি চোখে দেখে বোঝা যায় না – ওটা নদী, নাকি শুকিয়ে যাওয়া জমি।
advertisement
নদী মজে যাওয়ার প্রধান কারণ অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়া, অবৈধ দখল এবং নিয়মিত পরিচর্যার অভাব। জলধারণ ক্ষমতা প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই নদীর দু’কুল ছাপিয়ে জল ঢুকে পড়ে আশপাশের গ্রামে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় চাষবাস ও বসতবাড়ি।
একসময় ইছামতী নদী দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও মৎস্যচাষ চলত। সেই নদী এখন মৃতপ্রায়। বহু মৎস্যজীবী জীবিকা হারিয়ে পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছেন। তবুও নদীর তীরে আজও মানুষ বেঁচে আছেন আশায় – কখন ফিরে পাবে তাদের সেই চেনা স্রোতের শব্দ, সেই জলভরা দিন। এই আশায় নতুন আলো জ্বেলেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী জানিয়েছেন, শীতকাল থেকেই শুরু হবে ইছামতী নদীর সংস্কারের কাজ। নদীকে তার প্রাকৃতিক গতিপথে ফিরিয়ে আনা ও জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। সবকিছু ঠিকঠাক চললে আবারও বইবে ইছামতীর স্রোত। ফিরে পাবে তার পুরনো প্রাণ, ফিরবে জীবিকা, আর নদীতীরের মানুষ আবার শুনবে জলের ডাক।