আসুন জেনে নিই গোবিন্দ প্রসাদ সিংহ এবং তাঁর ব্যাপারে কিছু না জানা তথ্য, সরাসরি তাঁর নাতি সুকুমার সিংহের মুখে।
আরও পড়ুন: কুয়াশার চাদরে মোড়া সকাল, দিন গড়াতেই বিরাট হাওয়া বদল পুরুলিয়ায়! দেখুন
গোবিন্দ প্রসাদ সিংহের হাত ধরেই পরিচালিত হত বাঁকুড়া জেলার স্বাধীনতা সংগ্রাম। বাঁকুড়া জেলার অমর কাননকে ব্রিটিশ সরকার হট বেড বলে চিহ্নিত করে। ছোট থেকেই মা শারদার সকলকে প্রেম এবং স্বামী বিবেকানন্দের বাণীতে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করেন গোবিন্দ প্রসাদ সিংহ। গঙ্গাজলঘাটি এবং গোবিন্দ প্রসাদ সিংহের ইতিহাস অপার।
advertisement
নেতাজি যখন ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তখন কতুলপুরে একটি সভা করতে বাঁকুড়া আসেন স্বয়ং নেতাজি। পথে তাঁর গাড়ি খারাপ হলে ব্রিটিশদের বিষ নজর থেকে বাঁচার জন্যে তিনি গোবিন্দ প্রসাদ সিংহের শরণাপন্ন হন ।
আরও পড়ুন: সরস্বতী বন্দনায় বাধা হচ্ছে না আবহাওয়া! জেনে নিন সূচক
১৯২৫ সালে অমরকানন মঠে বিশেষ কাজে আসেন মহাত্মা গান্ধি। তখন গান্ধীজির সঙ্গেও সু-সম্পর্ক ছিল তাঁর।
বাঁকুড়া জেলার উন্নয়নেও গোবিন্দ প্রসাদ সিংহের অবদান অপরিহার্য। বর্তমানের মুকুটমনিপুর ড্যাম তাঁরই দূরদর্শিতার ফলাফল। বাঁকুড়া জেলার যে দিকে চোখ যাবে সেদিকেই গোবিন্দ প্রসাদের নামে নামাঙ্কিত কিছু না কিছু রয়েছে।
এইটুকু সময়ের বেড়াজালে গোবিন্দ প্রসাদ সিংহকে নিয়ে কাটা ছেঁড়া করা বৃথা। তাঁর মহিমা এবং প্রভাব আজও স্বাধীন ভারতের স্বাধীন বাঁকুড়া জেলায় অনুভূত হয় সর্বত্র। বর্তমানে গোবিন্দধাম গ্রামে গোবিন্দ প্রসাদের এবং গান্ধীজির অস্থি শায়িত আছে পাশাপাশি। আজও গোবিন্দধাম গ্রামে গেলে শোনা যায় তাঁদের ফিসফিসানি, যেন এখনও আলোচনা করে চলেছেন এই অভাগা দেশের উন্নতির কথা।
নিলাঞ্জন ব্যানার্জি