বাংলা তথা দেশের মানুষ এবং পৃথিবীর মানুষের কাছে আকর্ষনীয় হুগলি নদীর তীরবর্তী এই উদ্যান। এককালে ‘কোম্পানির বাগান ‘ নামে পরিচিত বর্তমানে আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বা শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন। ব্রিটিশ জমানায় ১৭৮৭ সালে কর্নেল রবার্ট কিডের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় এই উদ্যানের। সে সময় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নিয়ে এই উদ্যানের সৃষ্টি হয়। তবে বর্তমানে এই উদ্যান পর্যটন ও কনজারভেশন কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্ব বহন করছে। এবার এই উদ্যান থেকে চারা গাছ বিক্রির অর্থ পৌঁছে যাচ্ছে সরকারি কোষাগারে।
advertisement
গত কয়েক বছরের বিভিন্ন উদ্যোগ গুলি হল পর্যটন স্বাচ্ছন্দের কথা ভেবে ক্যাফেটেরিয়া, লেকে বোটিং, উদ্যান পরিদর্শনের সুবিধার্থে ব্যাটারি চালিত যান পরিষেবা এবং মা-শিশুর জন্য ফিডিং জোন, উদ্ভিদ সংরক্ষণে বনজ ফলের বাগান, অ্যাকোয়াটিক প্ল্যান্ট, ট্যাক্সোনোমি ও হার্বাল গার্ডেন সহ বিভিন্ন উদ্যোগ। এর পাশাপাশি প্রকৃতি সংরক্ষণ অর্থাৎ সবুজায়নের লক্ষ্যে আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে গাছ বিক্রি বিভাগ চালু করা হয়। যেখান থেকে খুব স্বল্প মূল্যে বৃক্ষ জাতীয় গাছের চারা ভেষজ গাছ এবং ঘর সাজানোর বিভিন্ন গাছ পাওয়া যাবে। যেখানে সব মিলিয়ে প্রায় ৭২ রকমের গাছ রাখা হয়েছে। আগামী দিনে এই সংখ্যা আরো বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন কোড দান কর্তৃপক্ষ।
প্রকৃতির টানে আসা পর্যটক এখান থেকে চারা গাছ কেনার সুযোগ পাবেন। এর মাধ্যমে গাছ বসাতে উৎসাহ পাবে মানুষ। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই উদ্যানে আসেন। সেই সমস্ত মানুষকে গাছ লাগানোর প্রতি উৎসাহদানের লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। অল্প দিনে এই উদ্যোগে দারুন সারা মিলেছে। দু মাসে প্রায় ১০ হাজার এর বেশি গাছ বিক্রি হয়েছে। সেখান থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আয়। এ প্রসঙ্গে উদ্যান জয়েন্ট ডাইরেক্টর ডঃ দেবেন্দ্র সিং জানান, মানুষকে গাছ লাগাতে উৎসাহ দানে এই উদ্যোগ। অল্পদিনেই দারুন সাড়া মিলেছে মানুষের। মূল লক্ষ্য হল, এখানে আসা প্রত্যেক মানুষ গাছ লাগাতে উৎসাহ পাক।