দিনে দিনে আকর্ষণ অনেকটাই বেড়েছে বর্ধমানের রমনাবাগান অভয়ারণ্যের। বেড়েছে এনক্লোজারের সংখ্যা। তার সঙ্গে বেড়েছে পশুপাখির সংখ্যাও। অভয়ারণ্যের ভেতরে পা দিতেই রয়েছে চিতা বাঘের এনক্লোজার। শীতের মিঠে রোদ পোহাতে দেখা গেল চিতা বাঘদের। এরপরই রয়েছে ভালুকের এনক্লোজার। এপ্রান্ত সে প্রান্ত ঘুরতে ব্যস্ত ভালুক।
আরও পড়ুন- ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা বাজতেই দিঘার হোটেলে ঘটল ভয়ঙ্কর ঘটনা! আওয়াজ আসছিল ঘর থেকে
advertisement
রমনাবাগান অভয়ারণ্যের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কুমীর। বিশাল এলাকা জুড়ে সাজানো কুমারের এনক্লোজার। চারটি কুমীরকে ডাঙায় উঠে রোদ পোহাতে দেখা গেল। কুমীর দেখতে কচি কাঁচাদের উৎসাহ ছিল দেখার মতো। রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির হনুমান। তাদের কাছে গিয়ে মজা নিতে দেখা গেল শিশুদের। রয়েছে এমু, ময়ূর, টিয়া, শামুখখোল সহ বিভিন্ন রকমের পাখি। প্যাঁচার জন্য রয়েছে আলাদা এনক্লোজার। রয়েছে শেয়াল। এছাড়া রয়েছে প্রচুর সংখ্যক হরিণ। তাদের খাবার খাওয়া, দল বেঁধে ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য উপভোগ করেছেন অনেকেই।
আলিপুর চিড়িয়াখানার মতো বিশালতা নেই। তবু অনেক কিছু রয়েছে বর্ধমানের এই মিনি জু তে। গাছ গাছালিতে ভরা রমনাবাগানে এই বন্যপ্রাণীদের দেখতে দেখতে কয়েক ঘন্টা পলকে কেটে যাবে। হেঁটে ক্লান্ত হয়ে পড়লে বিশ্রামের জন্য রয়েছে বাঁশের মাচা সহ সুন্দর ছাউনি। পশুপাখি দেখার পাশাপাশি সেলফি উঠলো দেদার।
আরও পড়ুন- গুমা বাজারে খাঁচায় বন্দি টিয়াপাখিগুলি কারা কিনছিল? কী করতে? হাতেনাতে ধরল অফিসার
বন দফতরের আধিকারিকরা জানালেন, এই অভয়ারণ্যকে আরও আকর্ষণীয় করার পরিকল্পনা রয়েছে। আনা হবে আরও বন্যপ্রাণ। রয়েল বেঙ্গল টাইগার আনারও পরিকল্পনা রয়েছে। তৈরি হবে ক্যাফেটেরিয়া। মঙ্গলবার বছরের শেষ দিনের ভিড়কেও ছাপিয়ে গিয়েছে আজ নতুন বছরের প্রথম দিনের ভিড়। গোটা শীত মরশুম জুড়েই এবার ভালো সংখ্যায় দর্শকরা উপস্থিত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।