এমনিতেই পুরুলিয়া পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির একটি। কিন্তু এই ইস্যুতে নারীদের নেতৃত্বে পুরুলিয়া শহরের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা ও গ্রামগুলিতেও পথে নামল মানুষজন। আরামের ঘুম শিকেয় তুলে মিছলে হাঁটলেন নারী থেকে পুরুষ সকলে। প্রান্তিক জেলা পুরুলিয়া শহর ও রঘুনাথপুর মহকুমায় প্রতিবাদে নামতে দেখা যায় দলমত নির্বিশেষে সকলকে।
advertisement
আরও পড়ুন: কন্যাশ্রী দিবসের মধ্যরাতে নারীদের দখলে রাজপথ, উঠল এই দাবি…
বুধবার সন্ধেয় প্রথমে রঘুনাথপুর মহকুমায় র্যালি হয়। রঘুনাথপুর ক্ষুদিরাম চক থেকে এই র্যালি শুরু হয়ে নতুন বাসস্ট্যান্ড হয়ে পুনরায় রঘুনাথপুর ক্ষুদিরামচকে এসে শেষ করে। রঘুনাথপুরের শহরবাসী ও রঘুনাথপুরের আশেপাশের গ্রাম থেকে বহু মানুষ এই মিছিলে যোগদান করেন। রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, চিকিৎসক সহ কয়েক হাজার মানুষ এই র্যালিতে পা মেলান। একইভাবে পুরুলিয়া স্টেশন থেকে রাতে র্যালি শুরু হয়ে রথতলা, মধ্যবাজার, চকবাজার হয়ে পোস্ট অফিস মোড়ে শেষ হয়। কয়েক হাজার মানুষ এই র্যালিতে পা মেলান।
এই বিষয়ে মিছিলে অংশ নেওয়া মহিলারা বলেন, যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র কোথাও মেয়েদের নিরাপত্তা নেই, সেখানে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে। কোথায় তারা সুরক্ষিত। অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তোলেন তাঁরা।
সেই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই গর্জে উঠেছে গোটা রাজ্য। আরজি করের সেই নারকীয় কাণ্ডের প্রতিবাদে গোটা রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভে নেমেছেন মহিলারা। তাঁদের সঙ্গ দিয়েছেন পুরুষরা। কলকাতা শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র একই চিত্র। প্রতিবাদের ঝড় উঠল প্রান্তিক জেলা পুরুলিয়াতেও।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি