কর্মজীবন শুরু হয় ওড়িশার একটি কলেজে। এরপর তিনি টানা ৩৪ বছর পশ্চিম মেদিনীপুরের বড়মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি নিয়মিত লেখালিখি করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন ও এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য ছিলেন। গবেষণার জন্য ২০০৬ সালে তিনি লণ্ডনের রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন। এটি তাঁর জীবনের এক বড় সম্মান। তাঁর কাজ দেশের বাইরে পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
advertisement
ছোটবেলা কেটেছে মোহনপুরে। তাই এই এলাকাকে আলাদা করে ভালবাসেন। সেই মোহনপুরকে কেন্দ্র করে লিখেছেন একটি—‘মোহনপুর ইতিকথা’। এই বইতে রয়েছে গ্রামের মানুষের জীবন। রয়েছে লোকউৎসব, লোকশিল্প, লোকসাহিত্য, প্রত্নতত্ত্ব এবং নানা অজানা তথ্য। বইটি এখন দুই মেদিনীপুরের ইতিহাসচর্চায় খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর লেখায় সাধারণ মানুষের সহজ গল্প উঠে আসে। সাধারণ মানুষও তাই সহজেই তাঁর বই পড়তে পারেন।
বয়স ৮৬ বছর, কিন্তু তাঁর কাছে এই বয়স কোনও বাধা নয়। বয়সটা শুধুমাত্র সংখ্যা। তিনি এখনও গবেষণা নিয়ে ব্যস্ত। বর্তমানে তিনি “টেম্পল আর্কিটেকচার অফ এগরা, রামনগর, মোহনপুর অ্যান্ড দান্তন ইন দ্য টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি অফ বেঙ্গল” বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। মন্দিরের নির্মাণশৈলী, ইতিহাস এবং স্থাপত্য—সব তিনি নিজে গিয়ে দেখে তথ্য সংগ্রহ করছেন। এগরার ‘প্রিয়ভিলা’ বাড়িতে বসেই চলছে তাঁর প্রতিদিনের কাজ। তিনি একা থাকেন। চুপচাপ কাজ করেন। কোনও বড় পুরস্কার বা সম্মান তাঁর দরকার নেই। মানুষের ভালবাসাই তাঁর কাছে সত্যিকারের সম্মান। এই বয়সেও তাঁর সংগ্রাম ও নিষ্ঠা তাই সকলের কাছে অনুপ্রেরণা।





