TRENDING:

East Medinipur News: ইন্দিরা গান্ধী দেন ডিগ্রি লাভ! ৮৬ বছরেও মন্দির স্থাপত্য নিয়ে নতুন গবেষণা শান্তিপদ নন্দ!

Last Updated:

ডিগ্রি পেয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হাত থেকে।বয়স শুধু সংখ্যা! মন্দির স্থাপত্য নিয়ে প্রজেক্টে অক্লান্ত ৮৬ বছরের গবেষক।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
এগরা, মদন মাইতি: বয়স ৮৬ বছর, ডিগ্রি পেয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হাত থেকে। এই বয়সে এখনও তিনি একটার পর একটা বই লিখে চলেছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার শান্তিপদ নন্দ। দুই মেদিনীপুরে আঞ্চলিক ইতিহাস ও লোকসংস্কৃতি নিয়ে যে কয়জন বর্ষীয়ান মানুষ কাজ করছেন, শান্তিপদবাবু তাঁদের অন্যতম। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্রজীবন থেকেই বই পড়তে ভালবাসতেন। স্থানীয় ইতিহাস জানার উৎসাহও ছিল প্রবল। সেই থেকেই শুরু তাঁর দীর্ঘ গবেষণার পথ।
advertisement

কর্মজীবন শুরু হয় ওড়িশার একটি কলেজে। এরপর তিনি টানা ৩৪ বছর পশ্চিম মেদিনীপুরের বড়মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি নিয়মিত লেখালিখি করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন ও এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য ছিলেন। গবেষণার জন্য ২০০৬ সালে তিনি লণ্ডনের রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন। এটি তাঁর জীবনের এক বড় সম্মান। তাঁর কাজ দেশের বাইরে পর্যন্ত পৌঁছে যায়।

advertisement

ছোটবেলা কেটেছে মোহনপুরে। তাই এই এলাকাকে আলাদা করে ভালবাসেন। সেই মোহনপুরকে কেন্দ্র করে লিখেছেন একটি—‘মোহনপুর ইতিকথা’। এই বইতে রয়েছে গ্রামের মানুষের জীবন। রয়েছে লোকউৎসব, লোকশিল্প, লোকসাহিত্য, প্রত্নতত্ত্ব এবং নানা অজানা তথ্য। বইটি এখন দুই মেদিনীপুরের ইতিহাসচর্চায় খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর লেখায় সাধারণ মানুষের সহজ গল্প উঠে আসে। সাধারণ মানুষও তাই সহজেই তাঁর বই পড়তে পারেন।

advertisement

View More

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
৮৬ বছরেও মন্দির স্থাপত্য নিয়ে নতুন গবেষণা শান্তিপদ নন্দ!
আরও দেখুন

বয়স ৮৬ বছর, কিন্তু তাঁর কাছে এই বয়স কোনও বাধা নয়। বয়সটা শুধুমাত্র সংখ্যা। তিনি এখনও গবেষণা নিয়ে ব্যস্ত। বর্তমানে তিনি “টেম্পল আর্কিটেকচার অফ এগরা, রামনগর, মোহনপুর অ্যান্ড দান্তন ইন দ্য টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি অফ বেঙ্গল” বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। মন্দিরের নির্মাণশৈলী, ইতিহাস এবং স্থাপত্য—সব তিনি নিজে গিয়ে দেখে তথ্য সংগ্রহ করছেন। এগরার ‘প্রিয়ভিলা’ বাড়িতে বসেই চলছে তাঁর প্রতিদিনের কাজ। তিনি একা থাকেন। চুপচাপ কাজ করেন। কোনও বড় পুরস্কার বা সম্মান তাঁর দরকার নেই। মানুষের ভালবাসাই তাঁর কাছে সত্যিকারের সম্মান। এই বয়সেও তাঁর সংগ্রাম ও নিষ্ঠা তাই সকলের কাছে অনুপ্রেরণা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Medinipur News: ইন্দিরা গান্ধী দেন ডিগ্রি লাভ! ৮৬ বছরেও মন্দির স্থাপত্য নিয়ে নতুন গবেষণা শান্তিপদ নন্দ!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল