বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শেষ কয়েক দশক এই বনাঞ্চলে লেপার্ড বা চিতাবাঘের আনাগোনা নেই বা তেমন কোনও তথ্য নেই। তবে যদি ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ১৯১১ সালের তথ্য অনুযায়ী দক্ষিণবঙ্গের এই জঙ্গলমহলের বনাঞ্চলে অস্তিত্ব ছিল লেপার্ডের। তবে বর্তমানে এই সমস্ত এলাকায় হায়না, বন শুয়োর বা এই ধরনের হিংস্র পশুর ব্যাপক প্রসার রয়েছে। ২০১৮ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের বাঘঘরার জঙ্গলে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। যার বেশ কয়েক মাস ধরে বিচরণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। গবেষকেরা মনে করছেন, সিমলিপাল অথবা পালামৌ টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে আসতে পারে। একইভাবে গত সপ্তাহে বিষ্ণুপুরে মৃত অবস্থায় পাওয়া লেপার্ডও ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে এই বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে আসতে পারে। একইভাবে জিনাতও এসেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
মনে করা হচ্ছে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের এই সমস্ত জঙ্গলমহলের বনাঞ্চলে হরিণ, বিভিন্ন ছোট বড় বন্যপ্রাণী থাকলেও বাঘ কিংবা লেপার্ডের বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারেনি। তবে কেন বারংবার এই এলাকায় চলে আসে বাঘ কিংবা লেপার্ড? গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, যে সমস্ত এলাকায় লেপার্ড বা বাঘের অস্তিত্ব রয়েছে সেই এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতি, সেখানকার কলকারখানার বৃদ্ধি সহ একাধিক কারণে অন্য জায়গায় চলে আসতে পারে। যদিও এই বিষয়ে গবেষণা প্রয়োজন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে, গড়বেতা এলাকায় অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ পাওয়ার পর একাধিক জায়গায় ট্র্যাপ ক্যামেরা লাগিয়েছে বন দফতর। পুরুষ লেপার্ডের মৃত্যুর পর আদৌ কি তার সঙ্গিনী রয়েছে এই এলাকায়? কিংবা এই লেপার্ডের মৃত্যু চলাচলের রাস্তায় কীভাবে হয়েছে তার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এই এলাকায় বারংবার বাঘ কিংবা লেপার্ডের চলে আসার কারণও খতিয়ে দেখছে বন বিভাগ।





