অপরদিকে কুমোরটুলির মা লক্ষ্মীগুলি হাতে তৈরি বলে রয়েছে ভালবাসার ছোঁয়া, তবে দামের কারণে পিছিয়ে পড়ছে মার্কেট থেকে। এমনকি, বাঁকুড়া জেলার, বাঁকুড়া শহরে কয়েকজন মৃৎশিল্পী এই বছর লক্ষ্মী ঠাকুর তৈরি করেননি, বিক্রি হবে না বলে। এরকম চিত্র শেষ কবে দেখেছেন? লক্ষ্মীপূজো মানেই লক্ষ্মী ঠাকুরের মূর্তি সারি সারি রাখা থাকবে। যেখান থেকে মানুষ দাঁড়িয়ে কিনবে লক্ষ্মী ঠাকুর। সারি সারি রাখা রয়েছে, তবে সেগুলি আসছে বর্ধমান জেলার নীলপুর থেকে। বাইরের জেলা থেকে এসে ধরে ফেলেছে বাঁকুড়ার লক্ষ্মী পুজোর বাজার। এদিকে মাথায় হাত ঘরের মৃৎশিল্পীদের।
advertisement
আরও পড়ুন: বাজারে ব্যাপক চাহিদা, তবুও মাথায় হাত! পান চাষ করে কেন সমস্যায় চাষিরা?
বাঁকুড়ার অভিজ্ঞ মৃৎশিল্পী মনোরঞ্জন চন্দ, মূর্তি বানাচ্ছেন ১৮ বছর। দুর্গাপুজোয়, বেশ কিছু দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে বিক্রি করেছেন তিনি। দুর্গা প্রতিমা দিয়েছেন বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায়। তবে লক্ষ্মী ঠাকুর বানানোর সাহস পাচ্ছেন না। বাজারে রেডিমেড লক্ষ্মী ঠাকুরগুলি একেবারে খেয়ে ফেলেছে কুমোরটুলির লক্ষ্মীর চাহিদা। ভয়ে কাঁচামাল কিনতে বাজার পর্যন্ত যাননি তিনি। একদিকে যেরকম রেডিমেড লক্ষ্মী ঠাকুর কিনতে ভিড় দেখা গেল দোকানের সামনে। অপরদিকে মাছি তাড়াচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রতিটা পুজোয় মানুষের মনে আনন্দ এনে দেয়। ব্যবসার সমৃদ্ধি ঘটে, মিলন হয় মনের। তবে কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ, এমন চিত্রই ধরা পড়ল বাঁকুড়া শহরে। লক্ষ্মী পুজোর বাজার একদিকে যেমন অগ্নিমূল্য। ঠিক তেমনই রেডিমেড লক্ষ্মীর সামনে হার মেনে গেল বাঁকুড়ার হাতে তৈরি মাটির লক্ষ্মী ঠাকুর। এরপর বৃষ্টি যেন আরও বড় একটি সমস্যা হয় নেমে এসেছে।