এমন অবাক করা অবস্থাটি হল আসানসোল পুরনিগমের অন্তর্গত ৯০ নম্বর ওয়ার্ডের নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এই বিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই অভিভাবকদের বড় অভিযোগ। তাঁদের অভিযোগ, এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাঠ কার্যত চুকে যেতে বসেছে। কারণ বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫০ জন পড়ুয়া থাকলেও, শিক্ষক রয়েছেন মাত্র একজন! যিনি আবার বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ পদেও রয়েছেন। ফলে পড়ানোর থেকে অফিশিয়াল কাজকর্ম বেশি করতে হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: চিংড়ি চাষ করলেই মোটা লাভ! সাহায্য করতে এগিয়ে এল মৎস্য দফতর
গত কয়েক বছরে এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংখ্যা কমে গিয়েছে। অথচ নতুন শিক্ষক এখানে আর আসেননি। একজন সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনিও গত এপ্রিল মাসে অবসর গ্রহণ করেন। আর তারপর থেকে বিদ্যালয়ের পুরো দায়িত্ব এসে পড়েছে বর্তমান টিচার ইনচার্জের কাঁধে। তার কাঁধে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম থেকে শুরু করে বিদ্যালয় দেখাশোনার সমস্ত দায়িত্ব রয়েছে। প্রতিদিন নিয়ম করে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের খাবার দেওয়ার বিষয়টিও দেখতে হয়। এত কিছু করে একা মানুষের পক্ষে স্কুলের চারটি শ্রেণির ক্লাস নেওয়া আর সম্ভব হচ্ছে না।
এই সব কিছু কাজ যে একসঙ্গে একজন শিক্ষকের পক্ষে দেখা সম্ভব নয়, তা কার্যত মেনে নিয়েছেন বর্তমান টিচার ইনচার্জ। এই বিষয়টি মেনে নিচ্ছেন অভিভাবকরাও। এই বিদ্যালয়ে স্থানীয় অনেক দরিদ্র পরিবারের পড়ুয়ারা পড়াশোনা করে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলে সকলের ক্ষতি হবে। তাই দ্রুত শিক্ষক পাঠিয়ে স্কুলের হাল ফেরানোর আবেদন জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
নয়ন ঘোষ